টেক্সাসের এক শোকাহত মা, তাঁর প্রয়াত মেয়ের উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার অনুষ্ঠানে, মেয়ের সম্মানার্থে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। জাকায়েলা গার্ডনার ক্যার নামের এই তরুণীর অক্টোবর মাসে মৃগীরোগের কারণে অকাল মৃত্যু হয়।
মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে এবং তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে, মা রোশান্ডা ক্যার এই শোকের মাঝেও মেয়ের স্নাতক ডিগ্রীর সনদ গ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হওয়া এই শোকাবহ অনুষ্ঠানে, রোশান্ডা তাঁর মেয়ের সম্মানে গাউন পরে মঞ্চে ওঠেন।
তিনি বলেন, “আজকের দিনটা একদিকে বেদনার, অন্যদিকে আনন্দের। জাকায়েলা তার ভাইবোনদের মধ্যে প্রথম স্নাতক। তাই, একসঙ্গে অনেক অনুভূতির জন্ম হয়েছে।”
কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। মেয়ের কথা বলতে গিয়ে গর্ব প্রকাশ করে রোশান্ডা বলেন, “সে নিশ্চয়ই এখন আমার পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে, আর বলছে, ‘মা, তুমি পারো!’”
জাকায়েলার বয়স যখন ১১ বছর, তখন তাঁর মৃগীরোগ ধরা পড়েছিল। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে তিনি খিঁচুনি অনুভব করতেন।
মেয়ের মৃত্যুর আগের দিন সকালে, তিনি জাকায়েলাকে ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়েছিলেন। কিন্তু ৬ই অক্টোবর সকালে, ঘুম থেকে উঠে তিনি জানতে পারেন, তাঁর আদরের মেয়ে আর নেই। ঘুমের মধ্যেই খিঁচুনি হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
মেয়ের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে এবং মৃগীরোগে আক্রান্ত অন্যদের সাহায্য করার জন্য, রোশান্ডা ‘কায়লাস প্লেস ১৯’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন।
এই সংস্থাটি মৃগীরোগে আক্রান্তদের কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি জানান, “আমি চাই, যাদের বাইরে যাওয়ার, একটু স্বস্তি পাওয়ার জায়গা নেই, তারা যেন এখানে এসে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট ভুলে থাকতে পারে। অনেক সময় তারা তাদের এই রোগ নিয়ে হতাশ হয়ে পরে, হাল ছেড়ে দেয়।”
রোশান্ডার এই উদ্যোগ, শুধু তাঁর মেয়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে না, বরং মৃগীরোগে আক্রান্ত অন্যান্য মানুষের জন্যেও একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করবে।
এটি প্রমাণ করে, শোকের গভীরতা থেকেও কিভাবে মানুষ সাহস ও সংগ্রামের মাধ্যমে সমাজের জন্য কাজ করতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল