1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 12, 2025 2:35 AM
সর্বশেষ সংবাদ:

শুক্রাণু দাতার শুক্রাণু থেকে জন্ম, ১০ শিশুর ক্যান্সার, চাঞ্চল্যকর তথ্য!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, May 26, 2025,

একই শুক্রাণু দাতার মাধ্যমে জন্ম নেওয়া ১০ জন শিশুর ক্যান্সার, উদ্বেগে চিকিৎসা জগৎ। চিকিৎসা বিজ্ঞান এক গভীর উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে।

একই শুক্রাণু দাতার মাধ্যমে জন্ম নেওয়া অন্তত ১০ জন শিশুর শরীরে ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ইউরোপিয়ান স্পার্ম ব্যাংক (European Sperm Bank)-এর মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর, সারা বিশ্বে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, এই দাতার শুক্রাণু ব্যবহার করে কমপক্ষে ৬৭টি পরিবারে জন্ম হয়েছে শিশুদের।

ফরাসি জীববিজ্ঞানী ড. এডউইজ ক্যাসপার-এর মতে, শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের কারণ হলো, দাতার শরীরে থাকা একটি বিরল জিনগত ত্রুটি, যা সম্ভবত লি-ফ্রাউমেনি সিন্ড্রোম নামক একটি অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই সিন্ড্রোমের কারণে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

এই ঘটনার পরই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতালির মিলানে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ হিউম্যান জেনেটিক্স-এর সম্মেলনে ডাঃ ক্যাসপার বিস্তারিতভাবে এই ঘটনা তুলে ধরেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের শরীরে লিউকেমিয়া, নন-হজকিন লিম্ফোমা সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। এই শিশুদের মধ্যে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, তাদের সবার জন্ম একই শুক্রাণু দাতার মাধ্যমে।

এই দাতার শুক্রাণুতে টিপি53 (TP53) নামক একটি জিনের বিরল রূপ পাওয়া গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই জিনের কারণেই শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে।

ইউরোপিয়ান স্পার্ম ব্যাংক জানায়, তারা ডেনমার্ক, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে থাকে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই দাতার শুক্রাণু ব্যবহার করে অন্তত ৬৭টি পরিবারে সন্তানের জন্ম হয়েছে।

যদিও ব্যাংকটি তাদের গোপনীয়তা নীতির কারণে সঠিক সংখ্যা জানাতে রাজি হয়নি।

ইউরোপিয়ান স্পার্ম ব্যাংকের মুখপাত্র জুলি পাউলি বুডজ জানান, এই ঘটনায় তারা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি আরও বলেন, শুক্রাণু দেওয়ার আগে বিস্তারিত পরীক্ষা করা হলেও, ২০০৮ সালে, যখন ওই ব্যক্তি শুক্রাণু দান করেছিলেন, তখন এই ধরনের জিনগত ত্রুটি সনাক্ত করা সম্ভব ছিল না।

কারণ, সেই সময়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী মিউটেশনগুলো সনাক্ত করার মতো প্রযুক্তি ছিলো না।

ড. ক্যাসপার মনে করেন, ইউরোপে একজন দাতার মাধ্যমে কতজন শিশুর জন্ম হতে পারে, সেই বিষয়ে একটি সীমা নির্ধারণ করা উচিত। তিনি বলেন, “আমরা সব শুক্রাণু দাতার পুরো জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে পারি না।

তবে, এটি অবশ্যই একটি অস্বাভাবিক ঘটনা, যেখানে একটি জিনগত রোগ এত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।”

ইউরোপিয়ান স্পার্ম ব্যাংক বর্তমানে প্রতিটি দাতার শুক্রাণু থেকে ৭৫ জনের বেশি সন্তানের জন্ম হতে দেয় না। বুডজ আরও জানান, তারা আন্তর্জাতিকভাবে একটি পরিবার সীমা নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই ঘটনার পর, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং জিনগত পরীক্ষার গুরুত্ব নতুন করে সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে, শুক্রাণু দান এবং গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সেইসঙ্গে, জিনগত স্ক্রিনিংয়ের আধুনিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT