জার্মানীর এক পর্যটকের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড! ইতালির রোমে ভ্রমণের সময় তিনি একটি প্রাচীন মার্বেল পাথরের বেস-সহ একটি ঐতিহাসিক শিল্পকর্ম ‘স্মারক’ হিসেবে নিজের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ইতালির পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
জানা গেছে, ওই পর্যটক একটি ইলেক্ট্রিক স্কুটারে করে ভিয়া ভেনেতো দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর তার স্কুটারের সামনে ছিল প্রায় ৩০ কেজি ওজনের ওই মূল্যবান শিল্পকর্মটি।
পুলিশের জেরার মুখে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি এটিকে ‘স্মারক’ হিসেবে সংগ্রহ করেছেন। তবে তিনি এর জন্য কোনো অর্থ পরিশোধ করেছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইতালির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মার্বেল পাথরের এই ভিত্তিটিকে “ঐতিহাসিক গুরুত্ব” সম্পন্ন একটি শিল্পকর্ম হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে ওই পর্যটকের বিরুদ্ধে “চুরি করা সাংস্কৃতিক সামগ্রী গ্রহণ”-এর অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও ইতালির ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে পর্যটকদের এমন কাণ্ড দেখা গেছে। এর আগে, ২০২২ সালে স্প্যানিশ সিড়িতে এক পর্যটক তার ইলেক্ট্রিক স্কুটার ফেলে দেন, যার ফলে প্রায় ২৫,০০০ ইউরোর (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা) ক্ষতি হয়।
একই বছর, অন্য একজন পর্যটককে রাতের বেলা মাসেরাতি (Maserati) গাড়ি নিয়ে স্প্যানিশ সিড়ি দিয়ে গাড়ি চালাতে দেখা যায়। পরে মিলান বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তিনজন মদ্যপ নিউজিল্যান্ডের পর্যটক ট্রেভি ফাউন্টেনে (Trevi Fountain) ঝাঁপ দেন, যার ফলস্বরূপ তাদের প্রত্যেককে ৫০০ ইউরোর (প্রায় ৫৮ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয় এবং আজীবনের জন্য ফাউন্টেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সম্প্রতি, একজন আমেরিকান নাগরিক ছবি তোলার জন্য কলোসিয়ামের (Colosseum) দেয়াল টপকাতে গিয়ে আহত হন।
পর্যটকদের এই ধরনের আচরণ ইতালির ঐতিহাসিক স্থানগুলোর প্রতি তাদের অসচেতনতার প্রমাণ। কর্তৃপক্ষ আশা করে, ভবিষ্যতে পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে এবং তারা ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সম্মান বজায় রাখবে।
তথ্য সূত্র: পিপল