বিখ্যাত হতে কে না চায়? আর সেই খ্যাতি যদি আসে ভ্রমণের মতো আকর্ষণীয় একটি বিষয় নিয়ে, তাহলে তো কথাই নেই।

সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার পার্কার সেইডেল, যিনি মূলত ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও তৈরি করেন, তার এক অভিনব কাণ্ডের জন্য অনলাইনে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। তিনি কিভাবে প্রথম শ্রেণীর টিকিটের যাত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছেন, তা নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।

পেশায় ইউটিউবার ও টিকটকার ২৫ বছর বয়সী পার্কার, বিমানের কর্মীদের ঘুষ দিয়ে প্রথম শ্রেণীর আসনে আপগ্রেড পাওয়ার চেষ্টা করে বেশ সাড়া ফেলেছেন।

তার এই উদ্ভট কাণ্ডের ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, এবং নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পার্কার জানিয়েছেন, ভ্রমণের প্রতি তার তীব্র ভালোবাসাই তাকে এই ধরনের ভিডিও বানাতে উৎসাহিত করেছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিমানের কর্মীদের উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যাতে তারা তাকে প্রথম শ্রেণীর যাত্রী হিসাবে আপগ্রেড করেন।

কখনও চকলেট, কখনও স্টারবাক্সের গিফট কার্ড, আবার কখনও হাতে লেখা চিঠি – এমন নানা উপায়ে তিনি ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, “আমি চেয়েছিলাম, যারা সবসময় বিমানে যাতায়াত করেন তাদের জন্য কিছু একটা করতে। প্রথম শ্রেণীর আসনে ভ্রমণ করার স্বপ্ন তো অনেকেরই থাকে।

তাই, আমি চেষ্টা করেছি, কিভাবে অন্যদের থেকে আলাদা কিছু করা যায়।”

জানা যায়, প্রথম দিকে তিনি কর্মীদের একশ ডলারের উপহার দিতেন। পরে, তিনি উপহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দুশো ডলারে নিয়ে যান।

এই কাজে তিনি প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে কার্ড তৈরি করা থেকে শুরু করে উপহারের ব্যাগ সাজানো এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের নজর এড়িয়ে এতকিছু করাটা বেশ কঠিন ছিল।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে তিনি পার পাওয়ার চেষ্টা করতেন।

যদিও সবসময় তার এই চেষ্টা সফল হয়নি, তবে এর মাধ্যমে তিনি কিছু সুবিধা পেয়েছেন। যেমন – বিনামূল্যে পানীয় এবং কিছু সুযোগ-সুবিধা।

একবার, জাপানে যাওয়ার সময় এক বিমানকর্মী তার দেওয়া উপহার দেখে খুবই খুশি হয়েছিলেন।

তবে, পার্কারের মতে, প্রথম শ্রেণীর টিকিট পাওয়াটাই সব নয়। বরং, অন্যদের জন্য কিছু করতে পারাও তার কাছে অনেক আনন্দের।

এছাড়া, তিনি মাঝেমধ্যে সাধারণ মানুষের জন্যেও নানা ধরনের মজার ভিডিও তৈরি করেন। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলা এলাকার কোটিপতিদের বাড়িতে গিয়ে তাদের জন্য রান্না করার প্রস্তাব দেওয়া – এই ধরনের ভিডিওগুলিও তার দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে, যেখানে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন, সেখানে পার্কারের এই ভিন্নধর্মী প্রচেষ্টা বেশ উল্লেখযোগ্য।

তার ভিডিওগুলি যেমন দর্শকদের হাসায়, তেমনই ভ্রমণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

তথ্য সূত্র: পিপল