মেগান মার্কেল: নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা এবং সংকোচ নিয়ে আলোচনা
ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মার্কেল সম্প্রতি তার ‘কনফেশনস অফ আ ফিমেল ফাউন্ডার’ পডকাস্টের সর্বশেষ পর্বে নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা এবং সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা নিয়ে কথা বলেছেন। এই পডকাস্টে তিনি স্প্যানক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সারা ব্লেকলিকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
ব্লেকলি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা, যিনি নিজের প্রচেষ্টায় বিলিয়নেয়ার হয়েছেন।
আলোচনায় উঠে আসে, কীভাবে নারীদের প্রায়শই অর্থ ও সাফল্যের বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়। মেগান মার্কেল উল্লেখ করেন, অনেক নারীই আর্থিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। সমাজে এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, প্রচুর অর্থ থাকাটা যেন কিছুটা দোষের।
এমনকি পর্যাপ্ত সম্পদ নেই এমন মানসিকতাও অনেক সময় নারীদের মধ্যে কাজ করে।
সারা ব্লেকলি নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘টাকা উপার্জন করা যেমন আনন্দের, তেমনি তা খরচ করা এবং দান করাও আনন্দ দেয়। আমার মনে হয়, টাকা আপনাকে আরও বেশি করে সেই মানুষটি করে তোলে, যা আপনি আসলে।’
এই পডকাস্টে মেগান মার্কেল এবং সারা ব্লেকলি দুজনেই নারী উদ্যোক্তা ও সমাজে নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তারা মনে করেন, নারীদের মধ্যে আর্থিক বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন, যাতে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ আরও ভালোভাবে গড়তে পারে।
উল্লেখ্য, প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে মেগান একজন অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ‘স্যুটস’ সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করেছেন।
২০১৯ সালে রাজপরিবারের সদস্য হওয়ার পর, ২০২০ সালের শুরুতে তারা রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে এসে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ঘোষণা দেন।
পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি জানিয়েছিলেন, রাজপরিবার তাদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন তিনি মায়ের (প্রিন্সেস ডায়ানা) রেখে যাওয়া কিছু অর্থ ব্যবহার করে জীবন ধারণ করেছেন।
বর্তমানে তারা ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেসিটোতে বসবাস করেন এবং নেটফ্লিক্স ও স্পটিফাই-এর সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে।
এছাড়াও, মেগান মার্কেল সম্প্রতি একটি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড চালু করেছেন, যার পণ্যগুলো দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। তিনি ভবিষ্যতে পোশাকের বাজারেও প্রবেশ করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।
তথ্য সূত্র: পিপল