মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ‘টাইগার কিং’ জো এক্সোটিক, যিনি বর্তমানে কারাবন্দী, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প সম্প্রতি একটি বিতর্কিত পদক্ষেপ হিসেবে অর্থ পাচার ও ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া টড এবং জুলি ক্রিসলি দম্পতিকে ক্ষমা ঘোষণা করেন। জো এক্সোটিক এই ঘটনার পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কারণ তিনি নিজেও একটি হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
জো এক্সোটিক তাঁর সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, “আমার মনে হয়, আমেরিকাতে নির্দোষ হওয়াটাই যথেষ্ট নয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, অথচ কোনো সাহায্য পাচ্ছি না।”
তাঁর প্রশ্ন, “সারা বিশ্ব যখন এই মামলার প্রমাণ দেখতে পাচ্ছে, তখন হোয়াইট হাউস কেন তা অস্বীকার করছে?”
২০১৯ সালে জো এক্সোটিককে বন্যপ্রাণী অধিকার কর্মী ক্যারোল বাসকিনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি তাঁর সাজার মেয়াদ কমানোর আবেদন করেছিলেন।
অন্যদিকে, টড এবং জুলি ক্রিসলিকে ২০১৯ সালে কর ফাঁকি ও ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের মেয়ে সাভানা ক্রিসলি এই ক্ষমার জন্য ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানান, “গত আড়াই বছর ধরে আমি আমার বাবা-মায়ের মুক্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।”
জো এক্সোটিকের এই অভিযোগ এবং ক্রিসলি দম্পতির ক্ষমা ঘোষণার ঘটনাটি মার্কিন বিচারব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক প্রভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত আইনের চোখে সকলের সমানাধিকারের ধারণাটিকে দুর্বল করে তোলে।
তথ্য সূত্র: পিপল