ফ্লোরিডার একটি বিমানবন্দরে এক শিশুর ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে ক্রিস্টিন ক্র্যাম্পটন নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬শে মে, সোমবার, স্যানফোর্ড-অরল্যান্ডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে ওঠার সময় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ক্র্যাম্পটনের বিরুদ্ধে গুরুতর শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।
বিমানবন্দরের পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হ্যাগর্সটাউনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল আলায়েজেন্ট এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটির। অভিযোগ উঠেছে, শিশুটি ক্র্যাম্পটনকে ‘মোটা’ এবং ‘মিস পিগি’ বলে ডাকলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি শিশুটিকে মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্র্যাম্পটন প্রথমে শিশুটির ফোন কেড়ে নেন এবং পরে তাকে ঘুষি ও একটি পানির বোতল দিয়ে আঘাত করেন। এমনকি, তিনি শিশুটির মাথা জানালার সাথেও “আছাড় মারেন”।
আহত শিশুটি নিজেকে বাঁচানোর জন্য মার থেকে বাঁচতে চেষ্টা করছিল। ঘটনার সময় উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকে জানান, “ওই নারী শিশুটিকে শুধরাচ্ছিলেন না, বরং তার ওপর নির্যাতন চালাচ্ছিলেন।”
পরের দিন, অর্থাৎ ২৭শে মে, মঙ্গলবার, সেমিনোল কাউন্টি আদালতের শুনানির পর ক্র্যাম্পটনকে ১০,০০০ মার্কিন ডলারের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। আদালত তাকে আপাতত ওই শিশুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেছেন।
সংবাদ সংস্থা পিপলস-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুটির পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সময় পুলিশের কাছে কোনো বক্তব্য দেননি। শিশুটির বয়স কত, বা ক্র্যাম্পটনের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে জানা গেছে, তারা সবাই ফ্লোরিডায় একটি ডিজনিল্যান্ড ভ্রমণে এসেছিলেন।
যদি কোনো শিশুর প্রতি নির্যাতনের সন্দেহ হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে Childhelp National Child Abuse হটলাইন-এ ফোন করা যেতে পারে। এই হটলাইনটি ১৮০টির বেশি ভাষায় ২৪ ঘণ্টা উপলব্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশেও শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন ও সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস