ম্যানহাটনের আকাশে আবারও এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ আসছে, যা ‘ম্যানহাটনহেঞ্জ’ নামে পরিচিত। নিউ ইয়র্ক শহরে এই দৃশ্য দেখা যাবে।
প্রতি বছর কয়েকবার, যখন অস্তগামী সূর্য নিউ ইয়র্কের আকাশচুম্বী অট্টালিকাগুলোর মাঝে দিয়ে এমনভাবে আলো দেয়, যেন মনে হয় যেন তারা সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত হচ্ছে। এই অসাধারণ দৃশ্যটি নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের কাছে খুবই প্রিয়।
এই বিশেষ ঘটনাটি প্রথম ১৯৯৭ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী নীল ডিগ্রাস টাইসন চিহ্নিত করেন। তিনি এই দৃশ্যটির সঙ্গে ইংল্যান্ডের স্টোনhenge-এর মিল খুঁজে পান, যেখানে সূর্যের অবস্থান একটি বিশেষ সময়ে পাথরের সারির সঙ্গে মিলে যায়।
ম্যানহাটনহেঞ্জ সেই ধারণারই প্রতিচ্ছবি, যেখানে সূর্যের আলো নিউ ইয়র্কের রাস্তার জ্যামিতিক বিন্যাসের সঙ্গে এক হয়ে এক চমৎকার দৃশ্যের অবতারণা করে।
২০২৫ সালের ম্যানহাটনহেঞ্জ-এর প্রথম দৃশ্য দেখা যাবে আগামী ২৮ ও ২৯ মে তারিখে। ২৮শে মে তারিখে, ‘হাফ সান অন দ্য গ্রিড’ দেখা যাবে, যখন সূর্যাস্তকালে সূর্যের অর্ধেকটা দেখা যাবে এবং সময়টা হবে বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ২৯শে মে, ভোর ৬টা ১৩ মিনিটে।
এর পরের দিন, ২৯শে মে, ‘ফুল সান অন দ্য গ্রিড’ দেখা যাবে, যখন পুরো সূর্য স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে এবং এটি ঘটবে বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ৩০শে মে, ভোর ৬টা ১২ মিনিটে।
এই দৃশ্য উপভোগ করার জন্য সেরা স্থানগুলো হলো ম্যানহাটনের পূর্ব-পশ্চিমমুখী প্রধান রাস্তাগুলো, যেখান থেকে নিউ জার্সির দিকে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এই রাস্তাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ১৪তম, ৩৪তম, ৪২তম এবং ৫৯তম স্ট্রিট।
এছাড়াও, টিউডর সিটি ওভারপাস এবং কুইন্সের হান্টার্স পয়েন্ট সাউথ পার্কেও এই দৃশ্য উপভোগ করা যেতে পারে।
ম্যানহাটনহেঞ্জ-এর এই দৃশ্য খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য স্থায়ী হয়, তাই ভালো একটি জায়গা পাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আগে সেখানে উপস্থিত থাকা ভালো। যেহেতু এটি একটি জনপ্রিয় ঘটনা, তাই অনেক মানুষের সমাগম হয়।
যদি কেউ এই বিশেষ দৃশ্য মিস করেন, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, জুলাই মাসের ১১ ও ১২ তারিখেও এই দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
১১ই জুলাই তারিখে আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরি-তে এই ঘটনাটি নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের আয়োজন করা হবে।
আকাশের এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলো প্রকৃতির এক অপার বিস্ময়। এই ধরনের ঘটনাগুলো প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরও একবার আমাদের সামনে তুলে ধরে, যা সত্যিই উপভোগ করার মতো।
তথ্য সূত্র: পিপল