অভিনেতা টায়ে ডিগস, যিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত, সম্প্রতি তার বোনের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সংগ্রামের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা বর্তমানে সারা বিশ্বেই বাড়ছে, এবং ডিগসের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তার ছোট বোন ক্রিশ্চিয়ান ডিগস-এর জীবনের একটি কঠিন অধ্যায় হলো সিজোফ্রেনিয়া। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দৃষ্টিভ্রম, চিন্তা-ভাবনার গোলমাল এবং বাস্তবতাকে উপলব্ধি করতে সমস্যা হতে পারে।
ডিগস জানিয়েছেন, যখন তার বোন প্রথম এই রোগ সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন তিনি কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন না কিভাবে এই পরিস্থিতিতে বোনের পাশে থাকবেন।
কারণ, সমাজের প্রচলিত ধারণা এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে যা জেনেছিলেন, তা ছিল বিভ্রান্তিকর। তবে, ধীরে ধীরে তিনি এই রোগ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে শুরু করেন এবং বোনের প্রতি সমর্থন আরও দৃঢ় করেন।
তিনি উপলব্ধি করেন, তার বোনের জীবন থেমে যায়নি এবং তাকেও বোনের জীবন থেকে দূরে থাকতে হবে না।
চিকিৎসকদের মতে, সিজোফ্রেনিয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী মানসিক রোগ, যার জন্য সঠিক চিকিৎসা ও পরিবারের সমর্থন অপরিহার্য। বাংলাদেশেও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়ছে, তবে এখনও অনেক মানুষ এই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে দ্বিধা বোধ করেন।
ডিগসের এই অভিজ্ঞতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে থাকাটা জরুরি।
টায়ে ডিগস এবং তার বোন ‘Live Your PosSCZible’ নামক একটি প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত আছেন। এই প্রচারণা সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য তথ্য, সহায়তা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
যদিও এই প্রচারণার সুযোগ বাংলাদেশে সরাসরি নাও থাকতে পারে, তবে এর মূল বার্তা- আশা এবং সমাজের প্রতি সমর্থন- আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিগস মনে করেন, আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য একটি সহযোগী সমাজ তৈরি করা প্রয়োজন, যেখানে তারা তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে এবং অন্যদের থেকে সমর্থন পেতে পারে।
যদি কোনো পরিচিতজন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় ভোগেন, তবে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন এবং তাদের চিকিৎসার জন্য উৎসাহিত করুন। মনে রাখবেন, সঠিক চিকিৎসা ও পরিবারের সমর্থন একজন মানুষকে স্বাভাবিক জীবন দিতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো সমস্যায় সাহায্য ও পরামর্শের জন্য আপনার এলাকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
তথ্যসূত্র: People