বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ওয়াইনোনা জাড তাঁর মায়ের আত্মহত্যার পর নাতনি কালিয়ার সঙ্গে সময় কাটানোর মাধ্যমে জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পেয়েছেন। ২০২০ সালের ৩০শে এপ্রিল, ৭৬ বছর বয়সে ওয়াইনোনার মা নাওমি জাড আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনাটি ওয়াইনোনার জীবনে গভীর শোকের সৃষ্টি করে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে, ওয়াইনোনা জানান, নাতনি কালিয়ার সঙ্গে কাটানো সময় তাঁর কাছে এক নতুন আলোর দিশা দেখিয়েছে।
ওয়াইনোনা জানান, মায়ের মৃত্যু তাঁকে অসহায় করে তুলেছিল। তিনি বলেন, “এমন একটি ঘটনার পরে আপনি কি করবেন? যখন আপনি অনুভব করেন আপনার কিছুই করার নেই, তখন অনেক প্রশ্ন জন্ম নেয়। কেন এমন হলো, সেই ‘কেন’ -এর উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মা সবার কাছে আলো ছিলেন, কিন্তু ভেতরের কষ্টগুলো তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন। এই কঠিন সময়ে আমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি। এখন নাতনির সঙ্গে দিনরাত কাটানোর মাধ্যমে আমি বুঝতে পারছি, মৃত্যুর পরেও জীবন আছে।”
ওয়াইনোনা তাঁর মেয়ের নানান সমস্যার কারণে বর্তমানে নাতনি কালিয়ার দেখাশোনা করছেন।
তিনি জানান, নাতনিকে বড় করতে গিয়ে তিনি আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন এবং জীবনকে নতুন করে উপলব্ধি করছেন।
তিনি যোগ করেন, “আমি এখন আমার নাতনির কথা শুনি। আমি টেলিভিশন দেখি না, যদি না কোনো বিশেষ পরিকল্পনা থাকে। কারণ আমি আমার আড়াই বছর বয়সী নাতনিকে মানুষ করছি।”
ওয়াইনোনার এই অভিজ্ঞতা আমাদের সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, অনেক পরিবারে দেখা যায়, শিশুদের দেখাশোনার দায়িত্ব মূলত দাদা-দাদি বা নানা-নানির উপর বর্তায়।
বাংলাদেশেও পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা শিশুদের লালন-পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ওয়াইনোনা জাড তাঁর মায়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠেছেন নাতনির ভালোবাসায়।
তিনি এখন অন্যদেরও এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে চান।
তথ্য সূত্র: পিপল