জনপ্রিয় ইউটিউব পরিবার ‘দি এস ফ্যামিলি’ – ভাঙনের পথে: বিবাহবিচ্ছেদ এবং পরকীয়ার অভিযোগ।
ইউটিউবে পারিবারিক ব্লগিংয়ের ধারণাটি বেশ পরিচিতি লাভ করেছে, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে। এই ধরনের ব্লগিংয়ে একটি পরিবারের দৈনন্দিন জীবন, মজার ঘটনা, এবং চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়, যা দর্শকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়।
‘দি এস ফ্যামিলি’ ছিল তেমনই একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল। এই পরিবারের প্রধান ছিলেন ক্যাথরিন পেইজ এবং অস্টিন ম্যাকব্রুম। তাঁদের তিনটি সন্তান ছিল: এল, আলায়া এবং স্টিল।
২০১৬ সালে এই দম্পতি তাঁদের ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। মজার কন্টেন্ট, চ্যালেঞ্জ এবং সন্তানদের নিয়ে কাটানো মুহূর্তগুলো তাঁদের ১৮ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার এনে দেয়।
পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন, ছুটি কাটানোর দৃশ্য, এবং অন্যান্য কার্যক্রম ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতেন।
তবে, সাফল্যের পাশাপাশি তাঁদের জীবনে আসে বেশ কিছু বিতর্ক। ২০২১ সালের অক্টোবরে, তাঁদের ১০.১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি নিলামে ওঠে। এরপর, ব্যক্তিগত জীবনেও আসে বিপর্যয়।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, ক্যাথরিন পেইজ এবং অস্টিন ম্যাকব্রুম তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা তাঁদের ভক্তদের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত।
ম্যাকব্রুম এই সিদ্ধান্তকে তাঁর জীবনের কঠিনতম একটি বলে উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি, ক্যাথরিন পেইজ একটি পডকাস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে মুখ খোলেন। তিনি জানান, তাঁর স্বামী অস্টিন ম্যাকব্রুম অন্তত তিনজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, এবং তাঁর ধারণা এই সংখ্যা ২০ পর্যন্ত হতে পারে।
ম্যাকব্রুম অবশ্য তাঁর অতীতের কিছু ভুলের কথা স্বীকার করেছেন।
বিচ্ছেদের পর, ক্যাথরিন নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তিনি ইগর টেন নামের একজনের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তাঁর ভালোবাসার কথা জানান।
অন্যদিকে, ম্যাকব্রুমও জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো এখন গোপন রাখতে চান।
বর্তমানে, ক্যাথরিন এবং অস্টিন তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছেন। তাঁরা একসাথে সময় কাটান এবং শিশুদের ভালো দেখাশোনার জন্য একসঙ্গে কাজ করছেন।
তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রধান লক্ষ্য হলো শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা।
আর্টিকেলটিতে আরও জানা যায় যে, তাঁদের সন্তান এল এবং আলায়ার সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইলগুলো এখন সেভাবে সক্রিয় নেই।
এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচিতি পাওয়া পরিবারগুলোর জীবনে অনেক চাপ থাকে। ব্যক্তিগত বিষয়গুলো প্রায়ই সবার সামনে চলে আসে, যা সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে।
এই ঘটনার মাধ্যমে, আমরা পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা এবং জনসাধারণের মাঝে নিজেদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে পারি।
তথ্য সূত্র: পিপল