বিয়ে বাড়ির আবাসন নিয়ে মনোমালিন্য: ২৫ বছরের বন্ধুত্বের পরিণতি?
বন্ধুত্ব একটি মূল্যবান সম্পর্ক, যা সময়ের সাথে গড়ে ওঠে। জীবনের নানা বাঁকে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকারই বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি।
কিন্তু কখনও কখনও সামান্য বিষয়ও এই সম্পর্কের ফাটল ধরাতে পারে। সম্প্রতি, “ডিয়ার অ্যাবি” নামক একটি পরামর্শ কলামে প্রকাশিত একটি ঘটনায় তেমনই এক বন্ধুত্বের ভাঙনের গল্প উঠে এসেছে, যা আমাদের সমাজের জন্য শিক্ষণীয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় কার্লা নামের এক নারীর ছেলের বিয়েকে কেন্দ্র করে। কার্লার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন যিনি, যিনি ঘটনার কেন্দ্রে থাকা নারী, বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেয়েছিলেন।
যেহেতু বিয়ের স্থানটি ছিল বেশ দূরে এবং তার যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা ছিল না, তাই তিনি কার্লার কাছে বিয়ের রাতে থাকার জন্য বিনামূল্যে একটি হোটেলের কক্ষের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। জানা যায়, ওই নারীর আর্থিক কিছু সমস্যা ছিল, তাই নিজের যাতায়াত এবং পোশাকের খরচ বহন করতেও তিনি কিছুটা দ্বিধা বোধ করছিলেন।
কিন্তু কার্লা তার বন্ধুর এই অনুরোধটি রাখেননি। বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি যাননি, এবং এরপর থেকে তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগও হয়নি। পুরনো বন্ধুত্বের এমন আকস্মিক সমাপ্তি নিঃসন্দেহে কষ্টদায়ক।
ঘটনার শিকার হওয়া নারীটি “ডিয়ার অ্যাবি”-র কাছে তার এই দুঃখের কথা জানান এবং জানতে চান, এখন তার কী করা উচিত।
পরামর্শক অ্যাবি এই বিষয়ে তার মতামত জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে অনেক ধরনের চাপ থাকে এবং অনেক বিষয় দেখাশোনা করতে হয়।
সম্ভবত কার্লাও সেই কারণে কিছুটা ব্যস্ত ছিলেন। অ্যাবি আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, যদি ওই নারী তার বন্ধু কার্লারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান, তাহলে তাকে সরাসরি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হবে।
এতে তাদের মধ্যে জমে থাকা ভুল বোঝাবুঝি দূর হতে পারে এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়তো আবার আগের মতো স্বাভাবিক হতে পারে।
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আলোচনা কতটা জরুরি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি অনেক সময় গভীর সম্পর্কের চিড় ধরাতে পারে।
তাই, যেকোনো বিষয়ে বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত। এতে সম্পর্কের জটিলতাগুলো সহজে সমাধান করা যায়।
তথ্য সূত্র: ডিয়ার অ্যাবি, নিউ ইয়র্ক পোস্ট।