খরার এই সময়ে যখন তাপমাত্রা বাড়ছে, গরম থেকে বাঁচতে মানুষজন হন্যে হয়ে উপায় খুঁজছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে গ্রীষ্মকালে অসহনীয় গরম পড়ে এবং লোডশেডিংয়ের সমস্যা লেগেই থাকে, সেখানে একটি কার্যকর কুলিং সিস্টেম থাকাটা খুবই জরুরি।
এমন পরিস্থিতিতে, ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য একটি নতুন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে – টাওয়ার ফ্যান। এই ধরনের ফ্যানগুলো এখন বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে, বিশেষ করে যারা এসি’র অতিরিক্ত খরচ বহন করতে চান না, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
আলোচিত JRD টাওয়ার ফ্যান, যা বর্তমানে অ্যামাজনে পাওয়া যাচ্ছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এর প্রধান আকর্ষণীয় দিকগুলো হলো এর কার্যকারিতা এবং বিভিন্ন সুবিধা।
এই ফ্যানটিতে রয়েছে তিনটি গতির অপশন এবং চারটি ভিন্ন মোড, যা ব্যবহারকারীকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়। উদাহরণস্বরূপ, অটো মোড ব্যবহার করলে, ফ্যানটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী গতি পরিবর্তন করে, যা ব্যবহারকারীদের সময় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাহায্য করে।
এছাড়া, এতে রয়েছে ‘স্লিপ মোড’, যা রাতের বেলা খুবই শান্ত পরিবেশে ঘুমের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। ব্লেডবিহীন ডিজাইন এটিকে শিশু এবং পোষা প্রাণীদের জন্য নিরাপদ করে তোলে।
এই ফ্যানটিতে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত টাইমার সেট করারও সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও, এর এলইডি লাইট ডিসপ্লে বন্ধ করার ব্যবস্থা থাকায় ঘুমের সময় কোনো আলো চোখে লাগে না।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এর সাথে একটি রিমোট কন্ট্রোলও পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে বিছানায় শুয়ে থেকেও ফ্যানটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
JRD টাওয়ার ফ্যানটি আকারে ছোট হলেও শক্তিশালী। এর প্রায় ৪০ ইঞ্চি উচ্চতা এটিকে যেকোনো ঘরে সহজেই স্থাপনযোগ্য করে তোলে। এই ফ্যানটি ৯০-ডিগ্রি পর্যন্ত বিস্তৃত স্থানে বাতাস সরবরাহ করতে পারে, ফলে এটি ঘরের বাতাস দ্রুত ঠান্ডা করতে সক্ষম।
এর গোপন হ্যান্ডেল থাকার কারণে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নেওয়াও সহজ।
যারা এই ফ্যানটি ব্যবহার করেছেন, তাদের অনেকেই এর কার্যকারিতা নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, এই ফ্যানটি ঘরকে দ্রুত ঠান্ডা করে এবং এর শব্দও খুব কম।
কেউ কেউ একে “গরমের রাতের জন্য গেম চেঞ্জার” হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। ফ্যানটির দাম প্রায় $70 (ডলার), যা বাংলাদেশি টাকায় (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী) প্রায় ৭,৭০০ টাকার মতো। তবে, দাম সবসময় পরিবর্তন হতে পারে।
এই পণ্যটি অ্যামাজনে পাওয়া গেলেও, বাংলাদেশে এর সহজলভ্যতা এবং শিপিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। এক্ষেত্রে, অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা স্থানীয় ই-কমার্স সাইটগুলোতে যেমন – দারাজেও এই ধরনের ফ্যান খুঁজে দেখা যেতে পারে।
এছাড়াও, বাংলাদেশে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ভোল্টেজ (২২০ ভোল্ট) অনুযায়ী ফ্যানটি ব্যবহার করা যাবে কিনা, সেটিও দেখে নিতে হবে।
বাজারে আরও অনেক ধরনের টাওয়ার ফ্যান পাওয়া যায়, যেমন – Amazon Basics, Dreo, Pelonis, Honeywell, এবং OmniBreeze-এর মতো ব্র্যান্ডগুলোও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। তাই, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি টাওয়ার ফ্যান বেছে নেওয়ার আগে, বিভিন্ন মডেলের বৈশিষ্ট্যগুলো ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া ভালো।
গরম থেকে বাঁচতে এবং আরামদায়ক জীবন যাপন করতে, একটি ভালো টাওয়ার ফ্যান হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সমাধান।
তথ্য সূত্র: পিপল