কাপ্তাই প্রতিনিধি।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ি গরুর চাহিদা বেশি।প্রতিবছর কোরবান এলে পাহাড়ি গরুর ক্রয়ে হিড়িক বেড়ে যায়।ক্রেতারা বিভিন্ন উপজেলা হতে গরুর হাটে পাহাড়ি গরু খুজে এবং দাম হলে দ্রুত তা ক্রয় করে নেয়।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা থেকে কোরবানির গরু ক্রয় করতে আসা আব্দুল মান্নান জানান,পাহাড়ি গরু ক্রয় করতে আসছি। প্রশ্ন করা হল পাহাড়ি গরু কেন?এক কথায় উত্তর দিল পাহাড়ি গরু পাহাড়ে থেকে লতা,পাতা, ঘাসসহ ন্যাচারেল খাবার খায়। যার ফলে তাদের চর্বি কম থাকে। কম চর্বি যুক্ত গরু ভালো হয়। এবং মাংস সুস্বাদু হয়।এসকল গরুর শরীরে কোন ধরনের মোটাতাজা করুন ইনজেকশন দেয়া হয়না।এক কথায় পাহাড়ি সেরা বলে জানান।
কাপ্তাই নতুন বাজার প্রতি বছরের মত আনন্দ মেলা মাঠে কোরবানি গরুর হাঁট বসে।রাঙামাটি জেলার দূর্গম বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাহাড়ি গরু আনা হয় বিক্রয় করার জন্য। কাপ্তাই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে মিনি ট্রাকযোগে রাঙ্গুনিয়া, রাউজানসহ বিভিন্ন উপজেলায় নেয়া হয়।এবার কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ি গরু কম উঠেছে।
গরু ব্যবসায়ী জহির ও কালাম জানান, হাটে গরু কম উঠার একমাত্র কারণ হল আগের মত উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন আর গরু লালন পালন করতে আগ্রহী নয়। তারা ঝুম চাষ করে কলা,আম,আনারস,লিচুসহ বিভিন্ন মিশ্র ফল চাষে আগ্রহী হওয়ার ফলে গরু লালন পালন কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে এবার কোরবানির গরু হাটে পাহাড়ি গরু কম উঠেছে। তবে দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।
কাপ্তাই হাটে হাছিল নেয়া লোকজন জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরু বিক্রয় কম হচ্ছে। গরু আছে কিন্তু ক্রেতা নেই। এখানে দেশি গরু কম উঠে। বিশেষ করে বিভিন্ন পাহাড়ি দূর্গম এলাকা হতে ইঞ্জিন চালিত বোর্টে করে কাপ্তাই আনন্দ মেলা গরু হাটে আনা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে ঈদের ২/৩ দিন আগে গরু ক্রয় বিক্রয় জমজমাট হয়ে উঠবে।