জন সি রেইলি: অভিনয় থেকে সঙ্গীত – জীবনের নানা রঙ।
বহু প্রতিভার অধিকারী জন সি রেইলি। অভিনেতা হিসেবে তিনি যেমন পরিচিত, তেমনই সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও তাঁর পরিচিতি বাড়ছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় জীবন, নতুন মিউজিক অ্যালবাম এবং সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন এই বহুমুখী শিল্পী।
অভিনয় জগতে রেইলির যাত্রা বহু বছরের। কমেডি থেকে সিরিয়াস—বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। তাঁর মতে, অভিনেতা হিসেবে সবসময় সত্ থাকার চেষ্টা করেন তিনি। “যদি আপনি হাস্যকর পরিস্থিতিতেও সত্ থাকেন, তাহলে সেটাই কমেডি,”—বলেন রেইলি। তাঁর অভিনয়ে গভীরতা থাকে, যা দর্শকদের চরিত্রগুলোর প্রতি আকৃষ্ট করে।
সঙ্গীতেও রেইলির আগ্রহ অনেক দিনের। বিশেষ করে পুরনো দিনের ভডেভিল পরিবেশনা তাঁর খুব পছন্দের। এই ধারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি তৈরি করেছেন ‘মিস্টার রোমান্টিক’ চরিত্রটি। তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘হোয়াটস নট টু লাভ?’-এর মাধ্যমে শ্রোতাদের আরও কাছাকাছি পৌঁছতে চান তিনি। এই অ্যালবামের জন্য হ্যারি নিলসন, ইভিং বার্লিন, টম ওয়েটস এবং নাট কিং কোলের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের কাছে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন রেইলি। টম ওয়েটস তাঁর জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছেন, শুধু সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই নয়, একজন শিল্পী হিসেবেও।
অভিনয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রেইলি তাঁর অভিনীত ‘স্ট্যান অ্যান্ড ওলি’ ছবিতে অলিভার হার্ডির চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতার কথা জানান। চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি প্রচুর গবেষণা করেছিলেন। তাঁর মতে, অলিভার হার্ডি ছিলেন একজন অসাধারণ শিল্পী।
সাক্ষাৎকারে সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রেইলি জানান, সিনেমা তৈরি একটা চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। সিনেমার সাফল্য সবসময় আগে থেকে বোঝা যায় না। অনেক সময় বক্স অফিসে ভালো ফল না করলেও, নিজের কাজের প্রতি সন্তুষ্টি একজন শিল্পীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁর জনপ্রিয় চরিত্র ‘ডক্টর স্টিভ ব্রুল’-এর কথা বলতে গিয়ে রেইলি জানান, এই চরিত্রে অভিনয়ের সময় তিনি কতটা আনন্দ পেয়েছেন।
সিনেমা জগতের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছেন রেইলি। তাঁর মতে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমার সংজ্ঞা হয়তো বদলে যাচ্ছে, তবে শিল্পের এই মাধ্যমটি কখনোই বিলুপ্ত হবে না। ভালো সিনেমা তৈরি হচ্ছে এবং তা খুঁজে বের করতে হবে।
জন সি রেইলির নতুন অ্যালবাম ‘হোয়াটস নট টু লাভ?’ ১৩ই জুন তাঁর নিজস্ব লেবেল ‘ইটারনাল ম্যাজিক রেকর্ডিংস’ থেকে মুক্তি পাবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান