পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানগুলো কি আবার জনপ্রিয় হচ্ছে?
বর্তমান ডিজিটাল যুগে, যেখানে মানুষজন তাদের পছন্দের অনুষ্ঠানগুলো যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে দেখতে পারে, সেখানেও বিভিন্ন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানগুলি, যেমন অস্কার, টনি অ্যাওয়ার্ডস, গোল্ডেন গ্লোব-এর মতো অনুষ্ঠানগুলো দর্শকপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। বরং বলা যায়, দর্শক সংখ্যা বাড়ছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া টনি অ্যাওয়ার্ডসের দিকে তাকালে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। এই অনুষ্ঠানে দর্শক সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ, যা ২০১৯ সালের আগের দর্শকসংখ্যার কাছাকাছি।
এই দর্শকপ্রিয়তা বৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, এই অনুষ্ঠানগুলো সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ফলে, দর্শকদের মধ্যে একটি বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়, যা তারা সরাসরি উপভোগ করতে চায়।
দ্বিতীয়ত, এই অনুষ্ঠানগুলো একটি সামাজিক অভিজ্ঞতা তৈরি করে। দর্শকরা তাদের বন্ধু এবং পরিবারের সাথে এই অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মতামত ও প্রতিক্রিয়া জানায়। এই দ্বিতীয়-স্ক্রিনের অভিজ্ঞতা দর্শকদের মধ্যে এক ধরনের সংযোগ তৈরি করে।
তারা সরাসরি অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা করে, যা তাদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন কোনো জনপ্রিয় অভিনেতা বা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতার মুহূর্ত। এই ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে এবং সবাই সেটি নিয়ে আলোচনা শুরু করে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাধারণত সিনেমার তারকাদের উপস্থিতি থাকে, যা দর্শকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে। যদিও অনেক সময় এই অনুষ্ঠানগুলো সমালোচিত হয়, কারণ এতে তারকাদের আত্ম-প্রশংসা বেশি থাকে, তবুও এর আকর্ষণ কমেনি।
শুধু তাই নয়, এই অনুষ্ঠানগুলো বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ারও সুযোগ করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, টনি অ্যাওয়ার্ডস ব্রডওয়ের সেরা কাজগুলো তুলে ধরে, যা দর্শকদের নতুন কিছু উপভোগ করার সুযোগ দেয়।
যারা হয়তো নিয়মিত ব্রডওয়েতে যেতে পারেন না, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা।
তবে, অনেকে মনে করেন, এই অনুষ্ঠানগুলো নিছক বিনোদনের একটি মাধ্যম। কিন্তু এর মাধ্যমে দর্শক নতুন কিছু জানতে পারে, যা তাদের রুচিকে সমৃদ্ধ করে।
সবমিলিয়ে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানগুলো ডিজিটাল যুগেও তাদের আকর্ষণ ধরে রেখেছে এবং সম্ভবত ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান