প্রিন্স উইলিয়াম: ডার্টমুরে পরিবেশ পুনরুদ্ধারের এক নতুন দিগন্ত

যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অফ ওয়েলস, প্রিন্স উইলিয়াম, সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ডার্টমোর ন্যাশনাল পার্কে এক গুরুত্বপূর্ণ সফরে গিয়েছিলেন। এই সফর ছিল তাঁর নতুন একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পের সূচনা করার অংশ, যা প্রকৃতির পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

প্রিন্স উইলিয়াম, যিনি ডিউচি অফ কর্নওয়ালের প্রধান, ডার্টমোরের প্রাকৃতিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ডিউচি অফ কর্নওয়াল হলো একটি বিশাল ভূ-সম্পত্তি, যার মূল্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি (যা বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে বিশাল একটি অঙ্ক)।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখানকার কার্বন-সমৃদ্ধ ভূমি পুনরুদ্ধার এবং প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরও স্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডার্টমোরের প্রাকৃতিক দৃশ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই এই প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক।

প্রকল্পটির অংশ হিসেবে স্থানীয় ভূমি মালিক এবং সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা হবে। এর মূল লক্ষ্য হলো – ঘাস কাটার নতুন পদ্ধতি তৈরি করা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা, নদীগুলোর সংস্কার করা এবং স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।

প্রিন্স উইলিয়াম এই প্রকল্পটিকে “সাহসী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “প্রকৃতি এবং মানুষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে ডার্টমোরকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে হবে।

ডার্টমোরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পরিবেশ রক্ষার এই উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশেও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড় এবং অতিবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

এমতাবস্থায়, পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রিন্স উইলিয়ামের এই ধরনের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।

প্রিন্স উইলিয়াম ডিউচির ব্যবস্থাপনার ওপর গভীর মনোযোগ দেন এবং এর মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখেন। তিনি সম্প্রতি স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং সেখানকার একটি অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান।

এছাড়াও, তিনি কর্নওয়ালে সামাজিক আবাসন তৈরি করে গৃহহীনদের সহায়তার জন্য কাজ করছেন।

প্রিন্স উইলিয়াম বর্তমানে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বার্ষিক ‘ট্রুপিং দ্য কালার’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি ঐতিহ্যগতভাবে অশ্বারোহণে অংশ নেন এবং বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দা থেকে তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।

তথ্য সূত্র: পিপল