দ্যা ম্যাটেরিয়েলিস্টস: ড্যাকোটা জনসনের অভিনয়ে নতুনত্বের ছোঁয়া?
বর্তমান সময়ে ভালোবাসার গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি হওয়াটা নতুন কিছু নয়, তবে সেলিন সং-এর সিনেমা ‘দ্যা ম্যাটেরিয়েলিস্টস’ (Materialists) সেই চেনা ছকের বাইরে গিয়ে দর্শকদের নতুন কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে। এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ড্যাকোটা জনসন, যিনি লুসি নামের একজন ম্যাচমেকারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে লুসির জীবন এবং তার প্রেম ও সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে।
সিনেমার কাহিনী অনুযায়ী, লুসি পেশাগত জীবনে একজন সফল ম্যাচমেকার, যিনি তার ক্লায়েন্টদের জন্য উপযুক্ত জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করতে সাহায্য করেন। এই কাজে তিনি কতটা পারদর্শী, তা সিনেমার গল্পে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
লুসি তার ক্লায়েন্টদের সামাজিক অবস্থান, পেশাগত সুযোগ এবং আর্থিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে সঙ্গী বাছাই করেন। যদিও ক্লায়েন্টদের সঙ্গে আলোচনা করার সময় লুসি সরাসরি এসব বিষয় তুলে ধরেন না, তবে তিনি সম্পর্কের গভীরতা এবং দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেন।
সিনেমার গল্পে লুসির চরিত্রে প্রেম এবং বাস্তবতার এক মিশ্রণ দেখা যায়। একদিকে যেমন তিনি তার প্রাক্তন প্রেমিক জন-এর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন অনুভব করেন, যিনি একজন অভিনেতা এবং আর্থিক দিক থেকে স্থিতিশীল নন।
অন্যদিকে, তিনি প্রভাবশালী এবং ধনী হ্যারি-র প্রতি আকৃষ্ট হন, যিনি তাকে বিলাসবহুল জীবন দিতে সক্ষম। হ্যারির চরিত্রে অভিনয় করেছেন পেদ্রো প্যাসকেল, যিনি একজন আকর্ষণীয় এবং মার্জিত পুরুষ হিসেবে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
তবে, সিনেমাটি কেবল ভালোবাসার গল্প নয়, বরং এটি বর্তমান সমাজের বস্তুবাদের প্রতিচ্ছবিও। সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষের রুচি, সামাজিক অবস্থান এবং আর্থিক নিরাপত্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
ড্যাকোটা জনসন লুসির চরিত্রে গভীরতা এনেছেন, যা দর্শকদের কাছে চরিত্রটিকে আরও বেশি বাস্তব করে তুলেছে। সমালোচকদের মতে, এই সিনেমাটি ড্যাকোটা জনসনের অভিনয় জীবনের অন্যতম সেরা কাজ হতে পারে।
‘দ্যা ম্যাটেরিয়েলিস্টস’ সিনেমায় ক্রিস ইভান্সকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে। সিনেমাটি বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এবং দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।
সিনেমাটি ভালোবাসার চিরাচরিত ধারণাকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে উৎসাহিত করে।
তথ্যসূত্র: People