শিরোনাম: খ্যাতির আলোয় দাম্পত্য: ব্রায়ান ক্র্যানস্টনের জীবনে সম্পর্কের সমীকরণ
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ব্রায়ান ক্র্যানস্টন সম্প্রতি তার দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবন এবং খ্যাতির প্রভাব নিয়ে মুখ খুলেছেন। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ব্রেকিং ব্যাড’ এবং ‘মালকম ইন দ্য মিডল’-এর মতো কাজের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া এই অভিনেতা জানান, তার জীবনে খ্যাতি আসার পর কিভাবে তার ৩৬ বছরের বিবাহিত জীবনে পরিবর্তন এসেছে।
নিউ ইয়র্কের ট্রাইবেকা ফিল্ম ফেস্টিভালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্র্যানস্টন তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। তিনি স্বীকার করেন, একজন শিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জনের পর সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা তৈরি হয়। তিনি বলেন, “সুযোগ এবং সৌভাগ্য আমাকে অনেক দিয়েছে, তবে এর সঙ্গে কাজ করার চাপও বাড়ে।
অন্যদিকে যেমন কাজের অফার আসে, তেমনি খ্যাতি নামক এক অদ্ভুত বিষয় আসে, যা সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলে।
ক্র্যানস্টন বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, কিভাবে পাপারাজ্জিরা প্রায়ই তার স্ত্রী রবিন ডারডেনের ছবি তোলার সময় তাকে সরে যেতে বলেন, যেন শুধু তার ছবি তোলা যায়। তিনি বলেন, “এটা একটা ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা, এবং আমি এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। আমার মনে হয়, ভালো কিছু পাওয়ার পেছনে কিছু ত্যাগও থাকে।
ব্রায়ান ক্র্যানস্টন ও রবিন ডারডেনের পরিচয় ১৯৮০-এর দশকে ‘এয়ার উলফ’ নামক টিভি সিরিয়ালের সেটে। ১৯৮৯ সালের ৮ই জুলাই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক কন্যা সন্তান, টেইলর ডারডেন, যিনি বর্তমানে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রায়ান ক্র্যানস্টনের সাফল্যের পেছনে তার স্ত্রী রবিন ডারডেনের অবদান অনস্বীকার্য। রবিন নিজেও একজন অভিনেত্রী, যিনি ১৯৭৭ সাল থেকে অভিনয় জগতে কাজ করছেন।
তবে, স্বামীর খ্যাতির কারণে তিনি তার নিজের কর্মজীবনে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন। ব্রায়ান জানান, তার স্ত্রী সবসময়ই তাকে সমর্থন জুগিয়েছেন এবং তার সাফল্যের অংশীদার ছিলেন।
২০২৩ সালে ব্রিটিশ জি-কিউ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রায়ান ক্র্যানস্টন জানান, তিনি ও রবিন কিছুদিনের জন্য বিদেশে বসবাস করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, “গত ২৪ বছর ধরে রবিন আমার পাশে থেকেছে।
সে আমার স্ত্রী, আমার সাফল্যের অংশীদার। আমি চাই, এবার সে তার নিজের জীবনকে গুরুত্ব দিক।
খ্যাতির আলোয় সম্পর্কের উত্থান-পতন একটি সাধারণ চিত্র। ব্রায়ান ক্র্যানস্টন এবং রবিন ডারডেনের গল্প আমাদের দেখায়, কিভাবে ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে খ্যাতির কঠিন সময়েও সম্পর্ক অটুট রাখা যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল