প্যাট্রিক শোয়ার্জেনেগার, যিনি অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারের পুত্র, সম্প্রতি ‘হোয়াইট লোটাস’ সিজন ৩-এ তার চরিত্র স্যাক্সন-এর মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন। শুরুতে, স্যাক্সন একজন উদ্ধত, অর্থলোভী যুবকের ভূমিকায় ছিলেন, যা দর্শকদের কাছে ঘৃণার কারণ হয়েছিল।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, চরিত্রের গভীরতা উন্মোচিত হয় এবং দর্শক তাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে শুরু করে।
সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে শোয়ার্জেনেগার তার এই অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন চরিত্রটি সম্পর্কে দর্শকদের প্রথমে নেতিবাচক ধারণা ছিল, কিন্তু পরে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়।
এই পরিবর্তন তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। “এই শো-তে কাজ করাটা আমার জন্য একটা শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ছিল,” তিনি যোগ করেন। “আমি আগে এমন কোনো অভিজ্ঞতার অংশ ছিলাম না, যেখানে দর্শক এত গভীরভাবে একটি চরিত্রের সাথে জড়িত থাকে।”
শোয়ার্জেনেগার আরও উল্লেখ করেন, চরিত্রটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার নামের কারণে কিছু মানুষের মধ্যে একটি পূর্ব-ধারণা ছিল। তারা হয়তো ভেবেছিল, তার বাবার খ্যাতির কারণেই তিনি এই সুযোগটি পেয়েছেন।
তবে সময়ের সাথে সাথে, দর্শকরা বুঝতে পারে, স্যাক্সন চরিত্রে তার অভিনয় কতটা শক্তিশালী ছিল।
অভিনেতা মনে করেন, ‘হোয়াইট লোটাস’-এর নির্মাতারা চরিত্রগুলোকে এমনভাবে তৈরি করেন, যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। দর্শকদের মধ্যে চরিত্রের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে এটি সহায়ক হয়।
স্যাক্সন চরিত্রের এই বিবর্তন এবং দর্শকদের প্রতিক্রিয়া, শোয়ার্জেনেগারের কাছে একটি “রোলার কোস্টার”-এর মতো ছিল।
এই মুহূর্তে, শোয়ার্জেনেগার ‘বিলি নাইট’ নামক একটি চলচ্চিত্রে আল পাচিনোর সাথে কাজ করছেন। এছাড়াও, তিনি ভেনমোর একটি নতুন প্রচারে অংশ নিচ্ছেন, যেখানে তার সহ-অভিনেত্রী অ্যাইমি লু উডও রয়েছেন।
অবশেষে, নিজের বাবার (আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার) সঙ্গে তার একটি মজার কথোপকথনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। “আমি যখন তোমার শো দেখছিলাম, তখন তোমার পশ্চাৎদেশ দেখতে পাচ্ছিলাম”, এমনটাই বলেছিলেন আর্নল্ড।
বাবার কাছ থেকে এমন মন্তব্য শুনে অভিনেতা হেসে উঠেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন