নারী সাহিত্য এবং অ-কথাসাহিত্য বিভাগে ২০২৩ সালের উইমেন’স প্রাইজ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের লেখক ইয়েল ভ্যান ডের ওয়াউডেন তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য সেফকিপ’-এর জন্য এই সম্মাননা জিতেছেন।

অন্যদিকে, চিকিৎসাবিদ্যা ও হৃদরোগের ওপর লেখা ‘দ্য স্টোরি অফ আ হার্ট’-এর জন্য নন-ফিকশন বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন ব্রিটিশ চিকিৎসক র‍্যাচেল ক্লার্ক। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক বিজয়ীকে ৩০,০০০ পাউন্ড দেওয়া হবে।

উপন্যাস ‘দ্য সেফকিপ’-এর প্রেক্ষাপট ১৯৪১ সালের নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ডাচ ইহুদিদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাঁদের জীবনযাত্রা এতে তুলে ধরা হয়েছে।

বিচারকদের প্যানেলের প্রধান কিট ডি ওয়াল এটিকে ‘ইতিহাস, সাসপেন্স ও ঐতিহাসিক ঘটনার এক অসাধারণ মিশ্রণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং ‘ভবিষ্যতের ক্লাসিক’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।

পুরস্কার গ্রহণের পর ইয়েল ভ্যান ডের ওয়াউডেন তাঁর বক্তব্যে নিজের ইন্টারসেক্স পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর এই পরিচয় কৈশোরে তাঁকে অনেক প্রভাবিত করেছে এবং সমাজের চোখে একজন নারী হিসেবে এই পুরস্কার পাওয়াটা তাঁর কাছে অত্যন্ত সম্মানের।

অন্যদিকে, র‍্যাচেল ক্লার্কের ‘দ্য স্টোরি অফ আ হার্ট’ বইটিতে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সঙ্গে জড়িত শিশুদের জীবন এবং হৃদরোগের অস্ত্রোপচারের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে।

বিচারকদের মতে, বইটি মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এ বছর উইমেন’স প্রাইজ ফর ফিকশনের জন্য মনোনীত অন্য লেখকদের মধ্যে ছিলেন – মিরান্ডা জুলাই, এলিজাবেথ স্ট্রাউট, আরিয়া অ্যাবার, সানাম মাহলৌজি এবং নুসাইবাহ ইউনুস।

নন-ফিকশন বিভাগে মনোনীত অন্যান্য বইগুলো হলো – নেনেহ চেরির ‘আ থাউজেন্ড থ্রেডস’, ক্লো ডালটনের ‘রাইজিং হেয়ার’, ক্লেয়ার মালির ‘এজেন্ট জো’, হেলেন স্কেলসের ‘হোয়াট দ্য ওয়াইল্ড সি ক্যান বি’ এবং ইউয়ান ইয়াং-এর ‘প্রাইভেট রেভোলিউশনস’।

এবারের অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন বার্নার্ডিন ইভারিস্টো। তাঁর সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

উল্লেখ, গত বছর নন-ফিকশন পুরস্কারের জন্য প্রথম বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছিলেন নাওমি ক্লেইন।

উইমেন’স প্রাইজ মূলত নারীদের লেখা সাহিত্যকর্মকে উৎসাহিত করে এবং তাঁদের কণ্ঠস্বরকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়।

এই পুরস্কারের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান