ওasis ব্যান্ডের দুই কিংবদন্তী সদস্য, নোয়েল এবং লিয়াম গ্যালাঘারের একটি বিখ্যাত প্রতিকৃতি নিলামে উঠতে চলেছে।
১৯৯৬ সালে শিল্পী এলিজাবেথ পেটন এই চিত্রকর্মটি তৈরি করেন, যা বর্তমানে লন্ডনের সোথেবি’স নিলাম হাউসে ২৫শে জুন অনুষ্ঠিতব্য একটি নিলামের অংশ হতে যাচ্ছে।
প্রতিকৃতিটির মূল্য ১.৫ মিলিয়ন থেকে ২ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ২১ কোটি থেকে ২৮ কোটি বাংলাদেশী টাকার সমান) পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সঙ্গীতের ইতিহাসে ওএসিসের অবদান অনস্বীকার্য।
নব্বইয়ের দশকে ব্রিটপপ ধারার উন্মোচনে ব্যান্ডটির ছিল অগ্রণী ভূমিকা।
১৯৯৬ সালে তাদের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী।
সে বছর তারা যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় কনসার্টগুলোর মধ্যে দুটি করে, যা নেপথ্যে ছিল ব্রিটপপ সঙ্গীতের উত্থান।
কেনেওয়ার্থ পার্কে অনুষ্ঠিত সেই কনসার্টে টিকিট পাওয়ার জন্য প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছিলেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫ লক্ষ দর্শক।
সোথেবি’সের বিশেষজ্ঞ আন্তোনিয়া গার্ডনারের মতে, প্রতিকৃতিটি শিল্পী এলিজাবেথ পেটনের একটি অসাধারণ কাজ।
ছবিতে দুই ভাইয়ের মধ্যকার সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যেকার চাপা উত্তেজনাও ফুটে উঠেছে, যা তাদের ভক্তদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।
শিল্পী পেটন সাধারণত পুরুষ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের ছবিতে ভিন্নতা আনেন।
তিনি গ্যালাঘার ভাইদের ছবিতে তাদের নরম বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তাদের সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
ওএসিসের এই প্রতিকৃতি নিলামে আসার কারণ হলো, ব্যান্ডটির জনপ্রিয়তা এখনও আগের মতোই রয়েছে।
তাদের পুরনো গানগুলো এখনো মানুষের মুখে ফেরে।
এমনকি, বহু বছর পর তারা আবার একসঙ্গে কনসার্ট করার ঘোষণা দিয়েছে, যা তাদের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের কনসার্টগুলো ব্রিটিশ সঙ্গীতের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও লাভজনক হতে চলেছে।
এলিজাবেথ পেটন ১৯৯০-এর দশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী হিসেবে পরিচিত।
তিনি জন লেনন, কিথ রিচার্ডস এবং কার্ট কোবেইন সহ বিভিন্ন সঙ্গীতশিল্পীর প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন।
এই শিল্পীর আঁকা লিয়াম গ্যালাঘারের একটি প্রতিকৃতি গত বছর ৪.১ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৪৭ কোটি টাকার বেশি) বিক্রি হয়েছিল, যা তার কাজের জন্য একটি রেকর্ড।
এই নিলামটি শুধু একটি চিত্রকর্মের বেচাকেনা নয়, বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক ঘটনাও বটে।
কারণ, এর মাধ্যমে ওএসিসের সোনালী দিনের স্মৃতি আবারও ফিরে আসছে, যা সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান