মায়ামিতে এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ঘুমন্ত অবস্থায় এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছে সবাই।
১৭ বছর বয়সী ডমিনিক ফেরেল নামের ওই কিশোরকে তার নিজের অ্যাপার্টমেন্টে হত্যা করা হয়, যেখানে হামলাকারী কোনো পরিচিত ব্যক্তি ছিল না।
জানা গেছে, ২৬ বছর বয়সী কিরিল আর. কেহল নামের এক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গেল রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। মায়ামির অত্যন্ত উঁচু একটি ভবনে (Icon Brickell) ডমিনিকের অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে কেহল।
পুলিশ জানিয়েছে, কেহল ভবনের নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ডমিনিকের অ্যাপার্টমেন্টের খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সেন্ট পিটার অ্যান্ড পল ক্যাথলিক স্কুলের ছাত্র ডমিনিক ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ছিল। তার এক রুমমেট তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ৯১১ নম্বরে ফোন করে।
দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ডমিনিককে হাসপাতালে নেওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হামলাকারী কেহল ঘটনার পর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পালিয়ে যায় এবং কাছাকাছি একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করে।
পরে সেই নির্মাণাধীন স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উপর থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিহত ডমিনিক ও হামলাকারী কেহলের মধ্যে কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল না।
জানা গেছে, কেহল সম্প্রতি অ্যারিজোনা থেকে মায়ামিতে এসেছিল এবং তার মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস ছিল।
এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস