শীর্ষ মার্কিন রান্নার প্রতিযোগিতা ‘টপ শেফ’-এর ২২তম আসরের বিজয়ী ট্রিস্টেন এপস। সম্প্রতি শেষ হওয়া এই সিজনে বিজয়ীর জন্য পুরস্কারের পরিমাণ ছিল রেকর্ড-সংখ্যক।
খাদ্যরসিকদের কাছে জনপ্রিয় এই রিয়েলিটি শো-এর আকর্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরা হলো।
প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়ী ট্রিস্টেন এপস-এর হাতে উঠেছে আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার (যা সারাতোগা স্প্রিংস ওয়াটার-এর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে)। এছাড়াও, ডেল্টা এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ডলার মূল্যের ফ্লাইট ক্রেডিট এবং ডেল্টা স্কাইমাইলস ডায়মন্ড মেডেলিয়ন স্ট্যাটাস তো ছিলই।
শুধু নগদ অর্থ আর ভ্রমণের সুযোগ নয়, ‘টপ শেফ’-এর বিজয়ী হিসেবে ট্রিস্টেন-কে ‘ফুড অ্যান্ড ওয়াইন’ ম্যাগাজিনেও বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে। এছাড়া, তিনি কলোরাডোর অ্যাস্পেনে অনুষ্ঠিত ‘ফুড অ্যান্ড ওয়াইন ক্লাসিক’ অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
পুরস্কার বিতরণের ক্ষেত্রে এই সিজনে নতুনত্ব ছিল।
বিজয়ী হিসেবে ট্রিস্টেন-এর জন্য অপেক্ষা করছিল আরও বড় সুযোগ। তিনি নিউ ইয়র্কের জেমস বিয়ার্ড হাউসে একটি নৈশভোজের আয়োজন করারও সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয়, জেমস বিয়ার্ড ফাউন্ডেশন-এর ‘রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড শেফ অ্যাওয়ার্ডস’-এ উপস্থাপক হিসেবেও অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে তাঁর জন্য।
এই প্রতিযোগিতার অন্য প্রতিযোগীরা তেমন কোনো পারিশ্রমিক পান না। যদিও শুরুতে তাঁরা দৈনিক ভিত্তিতে সামান্য কিছু ভাতা পেতেন। তবে, এই শো-এর খ্যাতি তাঁদের কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
‘টপ শেফ’ বিজয়ীদের মধ্যে অনেকে পরে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
২১তম সিজনের বিজয়ী ড্যানি গার্সিয়া সবচেয়ে বেশি অর্থ জিতেছেন, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ লক্ষ ৩ হাজার মার্কিন ডলার। তিনি এই অর্থ দিয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি সি-ফুড রেস্টুরেন্ট তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন।
এই শো-এর মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া রন্ধনশিল্পীরা বিভিন্ন রান্নার অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নেন।
সিজন ৪-এর রানার আপ রিচার্ড ব্লাইস পরে ‘টপ শেফ অল-স্টারস’ জিতেছিলেন। এরপর তিনি বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানে তাঁর ৫০টিরও বেশি এপিসোডে উপস্থিতি ছিল।
সিজন ১০-এর বিজয়ী ক্রিস্টেন কিসও এই শো-এর পরিচিত মুখ। তিনি ২১তম সিজনে উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২২তম সিজনেও তিনি এই ভূমিকায় ছিলেন।
এই ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তরুণ রাঁধুনিদের জন্য নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার আরও অনেক সুযোগ রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল