এলোন মাস্কের জনপ্রিয়তা নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে ভাটা, নতুন সমীক্ষায় ইঙ্গিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, এলোন মাস্কের জনপ্রিয়তা রিপাবলিকানদের মধ্যে আগের মতো নেই।
সম্প্রতি এক জরিপে এমনটাই উঠে এসেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের প্রকাশ্য মতবিরোধের জেরেই এই পরিবর্তন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিপাবলিকানদের মধ্যে মাস্কের প্রতি আগ্রহ কমেছে, যদিও এখনো অনেকে তাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেন।
এপ্রিল মাসের তুলনায় রিপাবলিকানদের মধ্যে মাস্ককে ‘খুব অনুকূল’ হিসেবে মূল্যায়নকারীর সংখ্যা কমেছে। মাস্কের দেওয়া কিছু বক্তব্য এবং ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।
উদাহরণস্বরূপ, আলাবামার বাসিন্দা এবং রিপাবলিকান ভোটার ক্যাটী লং-এর কথা বলা যায়। মাস্কের প্রতি তার ভালো লাগা কিছুটা কমেছে।
তিনি বলেন, “আগে যখন তিনি ভালো কাজ করছিলেন, তখন তাকে ভালো লাগতো। এখন মনে হয় তিনি কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছেন।”
তবে, শুধু রিপাবলিকানদের মধ্যেই নয়, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও মাস্কের প্রতি নেতিবাচক ধারণা কিছুটা কমেছে। জরিপে দেখা গেছে, মাস্কের কোম্পানি টেসলার চেয়েও তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি অনেক বেশি দুর্বল।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টেসলার বিক্রি এবং শেয়ারের দামে পতন হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাস্কের এই পরিবর্তন হয়তো গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কারণ, তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছেন।
এমনকি মাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন।
মাস্কের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে অনেকে তার সমালোচনা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ক্যানসাসের বাসিন্দা ভিক্টোরিয়া ব্রাউন টেসলার প্রতি ‘কিছুটা অসন্তুষ্ট’ মনোভাব পোষণ করেন।
এর কারণ হিসেবে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্ককে দায়ী করেন।
জরিপে দেখা গেছে, মাস্কের প্রতি মানুষের সামগ্রিক ধারণা এখনো একই রয়েছে। তবে, তার প্রতি আগ্রহের তীব্রতায় পরিবর্তন এসেছে।
এই জরিপটি গত ৫ থেকে ৯ই জুনের মধ্যে করা হয়। এতে ১,১৫৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।