আকাশপথে ভ্রমণের সময় আসন সংক্রান্ত বিবাদ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনার কথা জানা গেছে, যেখানে একজন যাত্রী আগে থেকে সংরক্ষিত একটি জানালার পাশের আসনে বসতে রাজি হননি।
পাঁচ ঘণ্টার বিমানযাত্রায় এক নারীর অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি সিট ছাড়তে অস্বীকার করেন, যা নিয়ে পরবর্তীতে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ওই যাত্রী তার আগে থেকে বুক করা আসনে বসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় এক নারী তার কিশোর ছেলেকে নিয়ে এসে ওই যাত্রীকে সিটটি ছাড়তে অনুরোধ করেন, যাতে ছেলেটি জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে পারে।
জানা যায় যাত্রীটি বেশ কয়েক মাস আগেই এই আসনটি সংরক্ষণ করেছিলেন, কারণ তিনি উড়োজাহাজের জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে পছন্দ করেন এবং ঘুমের সময় দেয়ালের কাছাকাছি থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
যাত্রীর কাছ থেকে যখন সিটটি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানো হয়, তখন ওই নারী বেশ অসন্তুষ্ট হন। তিনি জানান, “আসনটা তো একটা সাধারণ আসনেই, এত অনীহা দেখাচ্ছেন কেন?”
উত্তরে যাত্রী জানান, “ঠিকই তো, এটা আমার আসন।” এরপর পুরো পাঁচ ঘণ্টার ফ্লাইটে ওই নারী তার বিরক্তি প্রকাশ করতে থাকেন।
তিনি যাত্রীর পাশের সিটে বসেন এবং তার কনুই দিয়ে বারবার ধাক্কা দিতে থাকেন। এছাড়াও, তিনি তার মোবাইল ফোনের উজ্জ্বলতা পুরো বাড়িয়ে টেক্সট করতে থাকেন, যা ওই যাত্রীর জন্য বেশ অস্বস্তিকর ছিল।
বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই এই যাত্রীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।
তাদের মতে, আগে থেকে সিট বুক করার মূল উদ্দেশ্য হলো নিজের পছন্দমতো আসন নিশ্চিত করা। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, “যদি আসন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হতো, তাহলে যার সিট নেই, তিনি তো সেই আসন নিয়েই খুশি থাকতে পারতেন।”
তবে, এই ঘটনার মূল আলোচনা হলো, যখন ব্যক্তিগত পরিকল্পনা অন্য যাত্রীদের আকস্মিক প্রয়োজন বা পছন্দের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়। যদিও অনেক সময় অসুস্থতা অথবা পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে বসার জন্য আসন পরিবর্তনের অনুরোধ করা হয়, তবে এখানে মূল সমস্যা ছিল, যাত্রীটি তার আসনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেছিলেন।
তার প্রশ্ন ছিল, “আমি যদি আগে থেকে পরিকল্পনা করি, তবে সেটা কিভাবে অভদ্রতা হয়?”
আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা নতুন নয়। অনেক সময় দেখা যায়, ভ্রমণের সময় যাত্রীরা তাদের সিট পরিবর্তন করতে চান।
এক্ষেত্রে প্রত্যেক যাত্রীরই উচিত তাদের অধিকার এবং সম্মান সম্পর্কে সচেতন থাকা।
তথ্য সূত্র: পিপল