লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা দিতে সেনা মোতায়েন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে নিরাপত্তা জোরদার করতে ফেডারেল ভবনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলছে, এমন পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
গত কয়েক দিন ধরে চলা বিক্ষোভের পর ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের পরিবর্তে মেরিন সেনারা এখন ভবনটির নিরাপত্তা দিচ্ছেন। অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ধীরে ধীরে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম এই সেনা মোতায়েনকে রাজ্যের সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য এই সেনা মোতায়েনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা বিদ্রোহের ঝুঁকির কারণ দেখা দিলে ফেডারেল বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার আইনি অধিকার তাঁর রয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে ফেডারেল ভবনের সামনে জড়ো হন। তাদের মধ্যে অনেকে মুখোশ পরে ছিলেন। বিক্ষোভের সময় শহরের মেয়রের অফিসের সামনে মেক্সিকান পতাকা হাতে অভিবাসন নীতির প্রতিবাদ জানান অনেকে।
শুক্রবার (১৩ জুন, ২০২৫) বিক্ষোভের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় দেখা যায়। একইসঙ্গে, প্রতিবাদকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতেও দেখা যায় পুলিশকে।
বিক্ষোভের কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার জেরে আগামী দিনগুলোতে দেশজুড়ে আরও বড় ধরনের বিক্ষোভের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস