আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station – ISS) বায়ু লিক হওয়ার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, রুশ বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে স্টেশনটির ‘জভেজদা’ সার্ভিস মডিউলে (Zvezda Service Module) বায়ুচাপের সমস্যাটি খতিয়ে দেখছেন। এই মডিউলটি মূলত স্টেশনটির জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, যেমন – বাতাস সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি সরবরাহ করে থাকে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) জানিয়েছে, নভোচারীরা ইতিমধ্যে সম্ভাব্য লিকের জায়গাগুলো সিল করেছেন এবং বায়ু নির্গমনের হার মেপেছেন। এর ফলে আপাতত মডিউলের ভেতরে চাপ স্থিতিশীল রয়েছে।
যদিও এই মুহূর্তে নভোচারীদের কোনো বিপদ নেই, তবুও লিকের কারণে আসন্ন ‘অ্যাক্সিম মিশন ৪’ (Axiom Mission 4) অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই মিশনে চারজন নভোচারীর মহাকাশে যাওয়ার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি ১৯৯৮ সালে প্রথম উৎক্ষেপণ করা হয় এবং এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) উপরে প্রদক্ষিণ করে। বর্তমানে এখানে সাতজন বিজ্ঞানী অবস্থান করছেন।
আগে, গত ১১ জুন, স্পেসএক্স (SpaceX) রকেটের বুস্টারে জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে ‘অ্যাক্সিম মিশন ৪’ স্থগিত করা হয়েছিল। তার আগে, ১০ জুন, ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেও উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যায়।
এই মিশনের কমান্ডার হিসেবে থাকছেন নাসা’র প্রাক্তন নভোচারী পেগি হুইটসন। এছাড়াও, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) -র নভোচারী শুভানশু শুক্লা এই মিশনে পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) -র হয়ে স্লাওস উইসনিউস্কি এবং তিবর কাপু মিশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করবেন।
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এবং স্টেশনের বয়স বেড়ে যাওয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে এটিকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অ্যাক্সিম মিশন ৪’-এর নতুন উৎক্ষেপণ তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল