একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার ফলস্বরূপ, এক দম্পতির জীবনে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর জন্য যখন কর্মপরিবেশ নিরাপদ ছিল না, তখন তাদের পাশে এসে দাঁড়ান তারা। কিন্তু সন্তান জন্মগ্রহণের পর, পরিস্থিতি যেন খানিকটা ভিন্ন রূপ নিতে শুরু করেছে।
গর্ভবতী অবস্থায়, ওই নারীর কর্মক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায়, তিনি চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। বিশেষ করে, তার কর্মপরিবেশে ধূমপানের কারণে তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি ছিল। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও তিনি সমস্যা অনুভব করছিলেন। এই অবস্থায়, তার স্বামী নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তবে সংসারের খরচ সামাল দিতে সমস্যা হচ্ছিল।
তখনই এগিয়ে আসেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। তারা তাদের পুত্রবধূ এবং ছেলের পাশে ছিলেন, যা নিঃসন্দেহে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা বাড়িয়ে তোলে।
বর্তমানে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার তিন মাস পর, শাশুড়ি পুনরায় কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছেন। তিনি চান, পুত্রবধূ যেন শীঘ্রই কাজে ফেরে এবং পরিবারের আর্থিক যোগান দেয়। শাশুড়ির এই প্রত্যাশা, পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটি বিবেচনা করেই সম্ভবত এসেছে।
তবে, এই সিদ্ধান্তের ফলে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শাশুড়ি জানিয়েছেন, যদি পুত্রবধূ কাজে ফিরে আসেন, তাহলে তিনি সন্তানের দেখাশোনার খরচ বহন করতে রাজি আছেন। কিন্তু তিনি চান না, পুত্রবধূ বাড়িতে বসে থাকুক।
বিষয়টি নিয়ে ওই নারী বেশ হতাশ। তার মতে, সন্তানের দেখাশোনা করাটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একজন মা হিসেবে সন্তানের প্রতি তার যে দায়িত্ব, সেটিকে তিনি খাটো করে দেখতে নারাজ।
তিনি মনে করেন, তার এই ত্যাগ ও শ্রমের প্রতি সম্মান জানানো উচিত। তাছাড়া, তিনি যদি পুনরায় কাজে যোগ দেন, তাহলে তার উপার্জিত অর্থ সম্ভবত সন্তানের দেখাশোনার খরচেই ব্যয় হয়ে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে, অনেকেই শাশুড়ির এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আগে আর্থিক সাহায্য করেছেন, এটি তাদের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। এখন যদি তারা সন্তানের দেখাশোনার খরচ দিতে রাজি হন, তবে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এই ঘটনা পারিবারিক সম্পর্ক এবং আর্থিক প্রত্যাশার একটি জটিল চিত্র তুলে ধরে। যেখানে একদিকে রয়েছে মাতৃত্বের গুরুত্ব, অন্যদিকে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা।
তথ্য সূত্র: পিপল