প্রেমের সম্পর্ক ভাঙন: ২ কোটির বেশি টাকার দেনার কারণে প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন এক ব্যক্তি।
বর্তমান যুগে, ভালোবাসার সম্পর্কগুলো শুধু আবেগ আর অনুভূতির ওপর নির্ভর করে না, বরং আর্থিক সামঞ্জস্যও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একজন ব্যক্তি তার প্রেমিকার বিপুল পরিমাণ ঋণের কারণে সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছেন।
জানা গেছে, ৪9 বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার প্রেমিকার প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি (মার্কিন ডলারের হিসেবে প্রায় ২ লক্ষ) দেনা থাকার কথা জানতে পারেন। এই বিপুল পরিমাণ ঋণের কারণেই তিনি সম্পর্ক থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
বর্তমানে ডলারের বিনিময় মূল্য বিবেচনা করে এই অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় বিশাল।
ওই ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, তিনি বরাবরই আর্থিক বিষয়ে সচেতন এবং নিজের একটি ব্যবসা রয়েছে।
তার কোনো গাড়ি ঋণ নেই, ক্রেডিট কার্ডের দেনা নেই, এমনকি ছাত্র জীবনের ঋণও তিনি অনেক আগেই পরিশোধ করেছেন।
তিনি চান আর্থিক দিক থেকে চাপমুক্ত জীবন।
অন্যদিকে, তার প্রেমিকার রয়েছে ৫টি সন্তান, যাদের মধ্যে দুজন এখনো তার সঙ্গেই থাকে। প্রেমিকা ভালো বেতন পেলেও তার রয়েছে বিশাল ঋণের বোঝা।
জানা গেছে, ছাত্র ঋণের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের দেনা, চিকিৎসা বিল এবং গাড়ির কিস্তি বাবদ তার অনেক টাকা খরচ হয়। এমনকি, তিনি নিয়মিতভাবে রূপচর্চা এবং অন্যান্য বিলাসিতার পেছনেও অর্থ ব্যয় করেন।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি কঠোর পরিশ্রম করে এই পর্যায়ে এসেছেন এবং এমন একজনকে বিয়ে করার কথা ভাবতে পারেন না, যিনি এই ধরনের আর্থিক অবস্থায় রয়েছেন।
যদিও তিনি তার প্রেমিকাকে ভালোবাসেন, কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত মানসিক চাপ তার কাছে অসহনীয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, দুজনের আর্থিক জীবনযাত্রার মধ্যে মিল না থাকলে একসঙ্গে পথ চলা কঠিন।
কেউ কেউ আবার এই বিপুল পরিমাণ ঋণের কারণে প্রেমিকার মানসিক অবস্থার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। তাদের মতে, এত দেনা মানুষকে হতাশ করে তোলে এবং জীবনের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
তবে, অনেকেই মনে করেন, ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আর্থিক সামঞ্জস্যতা খুবই জরুরি। বিশেষ করে, যখন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা হয়, তখন এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা অপরিহার্য।
আমাদের সমাজে, বিয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক স্থিতিশীলতাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
তাই, এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায়, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে শুধু আবেগ নয়, বরং বাস্তবতার প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল