মেয়ের মোবাইল ভাঙায় বাবার উপর মেয়ের মায়ের ক্ষোভ, পরিবারে বিভেদ!
ঢাকার একটি পরিবারের গল্প, যেখানে এক নারীর অভিযোগ, তাঁর বাবার ভুলের কারণে মেয়ের স্মার্টফোন ভেঙে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মা দিবসের এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে। ৭০-এর কোঠায় বয়স হওয়া শ্বশুরমশাইয়ের আচরণে হতবাক তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, সম্প্রতি পরিবারের সকলে মিলে মায়ের বাড়িতে একত্র হয়েছিলেন মা দিবস উদযাপনের জন্য। সেখানে ১৭ বছর বয়সী নাতনির স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করেন বৃদ্ধ দাদু। তাঁর নিজের পুরনো চার্জারটি ব্যবহার করতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে।
চার্জারটি ফোনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়ায় জোর করে লাগানোর চেষ্টা করেন তিনি, যার ফলস্বরূপ ফোনের চার্জিং পোর্ট ভেঙে যায়, স্ক্রিন ফেটে যায় এবং বডি তেও বেশ কিছু ক্ষতি হয়।
মেয়ের মা জানান, তাঁর বাবা সবসময়ই আর্থিক বিষয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন। তাঁর কথায়, “বাবা এখন কোনওমতে দিন গুজরান করেন, হাতে তেমন কিছুই থাকে না।”
মেয়ের ফোন ভেঙে যাওয়ার পর যখন তিনি বাবাকে নতুন ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলেন, তখন তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “তাঁর পক্ষে এত দামি ফোন কিনে দেওয়া সম্ভব নয়। বরং মেয়ের কিছুদিন ফোন ছাড়া থাকাই ভালো।”
এই ঘটনায় পরিবারের অন্য সদস্যরাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। মেয়ের কাকা ও পিসি, মেয়ের মায়ের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, মেয়ে নাকি “অতিরিক্ত আবদারকারী”।
তাঁদের প্রশ্ন, “বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কাছ থেকে কি এত আশা করা যায়?”
মেয়ের মা জানান, তাঁর বাবা নিয়মিত বিল পরিশোধ করেন এবং খাবার-দাবারেরও অভাব নেই। কিন্তু হাতে টাকা আসলেই তিনি জুয়া খেলেন। তাঁর মতে, বাবার এই প্রবণতার কারণেই তিনি সহজে সঞ্চয় করতে পারেন না।
তিনি আরও জানান, তাঁর বাবা-মা এই ঘটনার জন্য তাঁকে “অযৌক্তিক” বলছেন। তাঁরা নাকি তাঁদের “গরিব” হিসেবে তুলে ধরছেন। যদিও মেয়ের মায়ের দাবি, তাঁর বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থা এমন নয় যে তাঁরা একটি ফোনের জন্য একেবারে দরিদ্র হয়ে যাবেন।
এই ঘটনার পর, ওই নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, “আমি কি সত্যিই অন্যায় করছি, বাবাকে তাঁর ভুলের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে বলতে?”
তথ্য সূত্র: পিপল