বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল: ভ্রমণের খরচা নিয়ে মনোমালিন্য
বহুদিনের পুরনো দুই বন্ধু, যারা একটি আনন্দ-ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন, তাদের মধ্যে ভ্রমণের খরচ ভাগাভাগি করা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। অনলাইনে আলোচনা এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এক বন্ধু, যিনি গাড়ি চালাবেন, তিনি অন্য বন্ধুটির কাছে ভ্রমণের জন্য আনুমানিক ৫০০ টাকার মতো জ্বালানি খরচ দিতে বলেন। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি।
সাধারণত, বাংলাদেশে বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে গেলে কে খরচ দেবে, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রীতি প্রচলিত আছে। কেউ হয়তো পুরো খরচ বহন করে, আবার কেউ সবাই মিলেমিশে খরচ ভাগ করে নেয়। এক্ষেত্রে, গাড়িচালক বন্ধুটি যখন জ্বালানির খরচ দিতে বলেন, তখন অপর বন্ধুটি খানিকটা বিব্রত হন।
জানা গেছে, ভ্রমণকারীরা একটি গেস্ট হাউসে উঠবেন এবং সেখানে থাকার খরচ তারা দুজনেই সমানভাবে দিতে রাজি হয়েছেন। তবে, গাড়ি ভাড়া এবং জ্বালানির খরচ নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। অনলাইনে আলোচনার মাধ্যমে জানা যায়, এই ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক বন্ধু তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রশ্ন করেন, বন্ধু হিসেবে জ্বালানির খরচ চাওয়াটা কি ঠিক?
আলোচনায় অংশ নেওয়া অনেকেরই অভিমত ছিল, গাড়ি চালাচ্ছেন যখন, তখন জ্বালানির খরচ চাওয়াটা স্বাভাবিক। বরং, বন্ধুর এই ধরনের আচরণে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
ওই বন্ধুটি আরও জানান, তিনি টাকার হিসাব-নিকাশে ততটা ভালো নন এবং তার স্বামীও তাদের বন্ধুত্বের বিষয়ে মাঝে মাঝে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তবে, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি অবশ্যই জ্বালানির খরচ দেবেন।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক সময় খুবই জটিল হতে পারে। সামান্য একটি বিষয় নিয়েও ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এক্ষেত্রে, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল