বাবা ও ছেলের খেলাধুলা: সন্তানের বেড়ে ওঠায় কাদের ভূমিকা বেশি?

প্রত্যেক শিশুই তার বেড়ে ওঠার সময়ে বাবা-মা উভয়ের কাছ থেকে কিছু না কিছু আশা করে। সন্তানের জীবনে বাবা-মায়ের ভূমিকা অনেক।

সম্প্রতি, অনলাইনে এক মায়ের উদ্বেগের কথা জানা যায়, যেখানে তিনি তার ৭ বছর বয়সী ছেলের খেলাধুলায় বাবার অংশগ্রহণের অভাব নিয়ে অভিযোগ করেছেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনলাইন ফোরামে (Mumsnet.com) ওই মা জানান, তার স্বামী ছেলের সঙ্গে খেলাধুলা করেন না বললেই চলে।

যদিও তিনি নিজেও চান তার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারুক, খেলাধুলা করতে পারুক, কারণ খেলাধুলা ছেলেদের সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক।

ছেলের খেলাধুলার প্রতি বাবার এমন অনীহা দেখে তিনি হতাশ। ছেলের স্কুলের খেলাধুলার প্রস্তুতি নেওয়ার পরিবর্তে, তার স্বামী খেলাধুলা উপভোগ করা সত্ত্বেও, বন্ধুদের সঙ্গে গলফ খেলতে যান।

মায়ের মতে, অন্যান্য বাবারা যখন তাদের ছেলেদের খেলাধুলায় উৎসাহ দেন, তখন তার ছেলে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তিনি মনে করেন, ছেলের ভালো একজন পুরুষ অভিভাবক প্রয়োজন, যিনি খেলাধুলা ও অন্যান্য বিষয়ে তাকে উৎসাহিত করবেন।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হয়।

অনেকে মনে করেন, এক্ষেত্রে মায়েরও এগিয়ে আসা উচিত এবং ছেলের সঙ্গে খেলাধুলায় অংশ নেওয়া উচিত।

তবে মা জানান, খেলাধুলায় তার তেমন আগ্রহ নেই এবং তিনি ভালো খেলোয়াড়ও নন।

তাই ছেলের খেলাধুলা বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধিতে তিনি হয়তো সরাসরি সাহায্য করতে পারবেন না।

তিনি আরও জানান, স্বামীর আগের মতো ছেলের প্রতি মনোযোগ এখন আর নেই।

তিনি এখন বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং গলফ খেলতে বেশি আগ্রহী।

আলোচনা থেকে জানা যায়, বিষয়টি শুধু খেলাধুলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

অনেক ব্যবহারকারী মনে করেন, এখানে মূল সমস্যা হলো বাবার উদাসীনতা।

একজন বাবা হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না।

সন্তানের প্রতি বাবার এমন আচরণ অনেক ক্ষেত্রেই সন্তানের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের বেড়ে ওঠায় বাবা ও মা উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

খেলাধুলা, পড়াশোনা কিংবা ভালো-মন্দ শেখানো—সবকিছুতেই তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।

সন্তানের ভালো ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রয়োজন একটি উপযুক্ত পারিবারিক পরিবেশ, যেখানে বাবা-মা দুজনেই সন্তানের প্রতি যত্নশীল হবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয়তাগুলো পূরণ করবেন।

এছাড়াও, শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি এবং সামাজিক দক্ষতা বিকাশেও অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র: পিপল