শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক অবসাদে ভোগা বোনের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ও সহযোগিতা।
ছোটবেলা থেকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া দুই ভাইবোনের গল্প, যা ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ডেভিড নামের এক ২১ বছর বয়সী যুবক, তাঁর ২৭ বছর বয়সী বোন জেনিফারের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক অবসাদে ভুগছেন।
ডেভিড নিয়মিতভাবে তাঁর বোনের ঘর পরিষ্কার করেন, যা তাঁর প্রতি ডেভিডের ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ।
জেনিফার দীর্ঘদিন ধরে স্কোলিওসিস (মেরুদণ্ডের বক্রতা), একটিমাত্র ফুসফুস ও কিডনির সমস্যা নিয়ে জীবন যাপন করছেন। এর সাথে রয়েছে মানসিক অবসাদ।
ডেভিড মনে করেন, জেনিফারের ঘরের অগোছালো অবস্থা তাঁর মানসিক অবস্থার প্রতিফলন। তাই, বোনের মানসিক শান্তির জন্য ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভাই-বোনের রয়েছে বেশ পরিচিতি। মজার ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে তাঁরা পরিচিতি লাভ করেছেন।
ডেভিড জানান, ছোটবেলায় তাঁদের সম্পর্ক ততটা ঘনিষ্ঠ ছিল না, তবে কঠিন পরিস্থিতি তাঁদের কাছাকাছি এনেছে। জেনিফারকে তিনি সবসময় সমর্থন করেন এবং তাঁর ভালো থাকার জন্য চেষ্টা করেন।
ডেভিড বলেন, “আমি বুঝি, মানসিক অবসাদে ভুগলে অনেক সময় সামান্য কাজও কঠিন হয়ে পড়ে। আমার বোনকে ভালো রাখতে, তাঁর কষ্ট কমাতে আমি সবসময় পাশে থাকতে চাই।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা হয়তো সবসময় ভালোবাসি কথাটা বলি না, কিন্তু আমাদের কাজের মাধ্যমেই তা প্রকাশ করি।” জেনিফারের প্রতি ডেভিডের এই যত্ন ও ভালোবাসা বুঝিয়ে দেয়, সম্পর্কের গভীরতা ভাষায় প্রকাশ করার চেয়েও বেশি কিছু।
ডেভিড মনে করেন, মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়াটা খুব জরুরি। তিনি বলেন, “কাউকে বিষণ্ণ দেখলে তাকে অলস বা সবসময় দুঃখী ভাবা ঠিক নয়। হয়তো সে দিনটা পার করার জন্য লড়াই করছে।”
জেনিফারের সুস্থতার জন্য ডেভিড সবসময় চেষ্টা করেন। তিনি তাঁর জন্য নিয়মিত খাবার কেনেন, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেন এবং সবসময় তাঁর পাশে থাকেন।
এই বিষয়ে ডেভিড আরও জানান, “আমি সবসময় চেষ্টা করি, আমার বোনের ভালো-মন্দ সব দিকে খেয়াল রাখতে। তাঁর জন্য মাঝে মাঝে উপহার কিনি, একসঙ্গে সময় কাটাই এবং তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি।”
ডেভিডের এই ভালোবাসাপূর্ণ আচরণ বুঝিয়ে দেয়, পরিবারের সদস্যরা একে অপরের প্রতি কতটা যত্নশীল হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলো মোকাবিলায় পরিবারের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদি কোনো আপনজন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় ভোগেন, তবে তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন এবং তাঁদের পাশে থাকুন।
তথ্য সূত্র: পিপলস