কাপ্তাই প্রতিনিধি।
আমরা অন্ধ কপাল মন্দ সবার কাছে সাহায্যে চাই। এ দুনিয়ায় আমাদের মত আর তো কেউই নাই। উপরের কথাগুলো বলছিলেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডে বসবাসরত জন্ম অন্ধ একই পরিবারের তিন ভাই বোন।
হোসনেয়ার বেগম(৪২),জহির উদ্দিন কালু(৪০) ও হাফেজ মো. ইসমাইল (৩৬) তিন ভাই/বোন বয়সের কোটায় পা দিলেও দুঃখ, কস্ট,অভাব,অনটন,শারীরিক অসুস্থ তাদের পিছু ছাড়ছেনা। এর মধ্যে ৭০ বৃদ্ধা মা আমেনা বেগম ব্রেইন স্ট্রোক করে দুই বছর যাবত প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায় শয্যাশয়ী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বাবা আসাদ উল্লাহ কর্ণফুলী পেপার মিলস্ কেপিএম এ কর্মরত থাকায় ২০০১ সালে মৃত্যুবরণ করে।
ফলে ৭ ভাই-বোনের সংসারে নেমে আসে কালো মেঘের ঘনঘাটা। কেপিএম অস্থায়ী কর্মরত এক ভাই রাসেল এর ওপর চলে গোটা সংসার। রাসেলের সামান্য বেতন দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। রাসেল জানান,সামান্য বেতন দিয়ে অসুস্থ মার চিকিৎসা করব, না নিজের সংসার চালাবো। নাকি জন্ম অন্ধ ৩ ভাই, বোনকে চালাবো।
এপর্যায়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অসহায় পরিবারটি। জন্ম অন্ধ হোসনে আরা বেগম প্রতিবেদককে জানান, আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি কোথাও যাওয়া ও কোন কিছু করার মত জায়গাও নেই। কিছু করে যে খাব তাও তো পাড়ছিনা,কারন আমরা জন্ম অন্ধ বলে। তাই সমাজের সকলের নিকট আর্থিক সাহায্য চাই।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডাক্তার রহমত উল্লাহ ও মানবিক সম্পা আহমেদ জানান,এরা একই পরিবারের ৩ ভাই-বোন জন্ম অন্ধ একটি অসহায় পরিবার। এদের কে সমাজের বোঝা না ভেবে সকলে মিলে আর্থিক সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতার হোসেন মিলন জানান,আমরা যখন যা পারছি তাদের ইউনিয়ন পরিষদ হতে সহযোগিতা করছি।
কাপ্তাই উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, তার দপ্তর হতে সরকারি ভাবে মাসিক ৮৫০ টাকা করে শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া তো আমাদের আর কিছু করার নেই।
কোন সহৃদয় ব্যক্তি চাইলে যোগাযোগ নগদ ০১৮৮৪১৯৭২৫৬ পাঠাতে পারেন।