এখানে একটি নতুন সংবাদ নিবন্ধ যা মূল প্রবন্ধের তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে:
**শিরোনাম: অভিবাসী পিতার গর্ব: লেখকের বই সফরে ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বাস**
ছেলে রাজ টওনির বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যেন আলো ঝলমলে এক চরিত্র—তাঁর বাবা রুপ টওনি।
১৯৭৬ সালে মুম্বাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা রুপ, ছেলের সাফল্যের সাক্ষী হয়ে আজও উজ্জ্বল।
রাজের লেখা বইগুলি—’কালারফুল প্যালেট’ (স্মৃতিকথা) এবং ‘অল মিক্সড আপ’ (তরুণ পাঠকদের জন্য উপন্যাস), তাঁকে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
আর বাবার উৎসাহ আর ভালোবাসায় রাজের প্রতিটি সফর যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
রাজ টওনির বাবা রুপ একজন শিল্প প্রকৌশলী।
বইয়ের পাতায় হয়তো তাঁর নিয়মিত আনাগোনা নেই, কিন্তু ছেলের সাফল্যে তিনি সবসময় গর্বিত।
বাবার উষ্ণতা, হাসিখুশি মেজাজ, এবং পরিচিত কৌতুক— “আমার নাম রুপ, উল্টো করে লিখলে ‘পুর’ (গরিব!)”, সবার কাছেই প্রিয়।
রুপ টওনির এই কৌতুকটি গত ত্রিশ বছর ধরে তিনি সবার সাথে শেয়ার করেন, যা তাঁকে আরও হাসিখুশি করে তোলে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে পিতার উপস্থিতি রাজের কাছে সবসময় বিশেষ কিছু।
নিউ জার্সির প্রিন্সটন মিডল স্কুলে এক অনুষ্ঠানে, যখন রাজ তাঁর বাবাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, তখন হলভর্তি ছাত্রছাত্রী করতালি দিয়ে বাবাকে অভিনন্দন জানায়।
তারা বাবার অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পরেছিল।
বাবার চোখেমুখে তখন যেন বাঁধভাঙা আনন্দ।
বাবা রুপ টওনির এই উচ্ছ্বাস আর আত্মত্যাগ, রাজের কাছে সবসময় অনুপ্রেরণার।
লং আইল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে, যখন লাইব্রেরিয়ানদের উদ্দেশ্যে রাজ তাঁর জীবনের গল্প বলছিলেন, তখন দর্শক সারিতে বসা বাবাকে দেখে তিনি স্বস্তি অনুভব করেন।
অনুষ্ঠান শেষে, বাবার হাত ধরেই তিনি বইয়ের পাতায় নিজের স্বাক্ষরের পাশে জুড়ে দেন ‘রুপ—বাবা’।
ছেলের সাফল্যে বাবার এই আনন্দ, অভিবাসী জীবনের কঠিন পথ পেরিয়ে আসা এক পিতার গর্বের প্রতিচ্ছবি।
বাবার ত্যাগ ও ভালোবাসাই রাজকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে, যা প্রতিটি বাঙালির কাছে এক অনুপ্রেরণা।
তথ্যসূত্র: পিপল