মা তার ৯ বছর বয়সী মেয়েকে খেলাধুলা করতে বন্ধুদের সাথে পার্কে যেতে দেওয়ার পর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। মেয়েকে অন্য এক বন্ধুর বাড়িতে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল, যেখানে তার বাবার তত্ত্বাবধানে তারা পার্কে যাবে এমনটাই ঠিক ছিল।
কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন, মেয়ের বন্ধু এবং আরও কয়েকজন মিলে কোনো অভিভাবক ছাড়াই পার্কে গিয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে মা “মুমসনেট” নামক একটি অনলাইন ফোরামে তার উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন, “আমি সম্ভবত বেশি চিন্তিত হচ্ছি, কিন্তু তারা একা যেতে পারল কীভাবে, যেখানে তাদের বাবার তত্ত্বাবধানে যাওয়ার কথা ছিল?”
তিনি আরও যোগ করেন, মেয়েকে অবশ্যই কোনো না কোনো সময়ে একাকী বাইরে যেতে দিতে হবে, তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তো তার নিজের।
বিষয়টি নিয়ে ফোরামে অনেকে মায়ের উদ্বেগকে সমর্থন করেছেন। তাদের মতে, অন্য অভিভাবকের এমন সিদ্ধান্ত জানানোর আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল।
একজন মন্তব্যকারী সরাসরি বলেন, “অবশ্যই, এই সিদ্ধান্ত আপনারই নেওয়া উচিত ছিল। অন্য কোনো অভিভাবক আপনার হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিলে আমি রেগে যেতাম, বিশেষ করে যখন বলা হয়েছিল একজন বড় অভিভাবক তাদের সঙ্গে যাবেন।”
আবার, কেউ কেউ মায়ের সঙ্গে একমত হলেও, তারা মনে করেন মেয়েকে কিছুটা স্বাধীনতা দেওয়া যেতে পারে। তাদের মতে, ৯ বছর বয়সীরা কয়েকজন বন্ধু মিলে অভিভাবক ছাড়া পার্কে যেতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে মেয়েকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে, সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া প্রয়োজন। যেমন, একা ফিরে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সে কি করতে পারবে, তার কাছে ফোন আছে কিনা, অথবা কোনো সমস্যা হলে বা কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে পড়লে সে কী করবে, ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, কিছু সদস্য এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের মতে, আধুনিক যুগে ছেলেমেয়েদের প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তাদের যুক্তি, তাদের শৈশবে এমন ঘটনা খুবই স্বাভাবিক ছিল এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এখনো এটা প্রচলিত।
বাংলাদেশে শিশুদের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের নজরদারি অনেক বেশি থাকে, বিশেষ করে রাস্তাঘাটের নিরাপত্তা এবং সামাজিক বিভিন্ন কারণে।
তাই, শিশুদের একাকী পার্কে যাওয়া নিয়ে অনেক অভিভাবকের মনেই উদ্বেগ থাকে। মেয়েকে একা ছাড়ার আগে অভিভাবকদের নিশ্চিত করতে হবে যে, মেয়েটি নিজের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও সচেতনতা রাখে।
মোটকথা, বিষয়টি একদিকে যেমন অভিভাবকত্বের একটি দিক, তেমনই শিশুদের স্বাধীনতা এবং তাদের বিকাশের সঙ্গেও জড়িত। এই ধরনের পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের ভালো-মন্দ দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: People