বাবা দিবসে আবেগঘন পোস্ট: কঠিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন, তবুও ভালোবাসার বাঁধনে বাঁধা ট্যানার ও শেই মার্টিন।
ভালোবাসা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে, জীবনের কঠিন পরিস্থিতিও হার মানে। ট্যানার মার্টিন এবং শেই মার্টিনের গল্প তেমনই এক অনুপ্রেরণা জাগানো দৃষ্টান্ত।
মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন ট্যানার, তবুও ভালোবাসার বাঁধনে নতুন করে সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন তারা। সম্প্রতি, তাদের প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে, আর এই বিশেষ বাবা দিবসে আবেগঘন একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ পরিচিত এই দম্পতি। ট্যানারের যখন ২৫ বছর বয়স, তখনই ধরা পড়ে তার চতুর্থ স্তরের কোলন ক্যান্সার।
এরপর থেকেই, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেন তারা। তাদের এই যাত্রা, যেখানে একদিকে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ, অন্যদিকে ভালোবাসার উদযাপন, তা অনেকের কাছেই অনুকরণীয়।
মে মাসের ১৫ তারিখে তাদের ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে কন্যা অ্যামিলু।
মেয়ের জন্মের পর, বাবা-মায়ের চোখেমুখে ছিল সীমাহীন আনন্দ। সদ্যোজাত শিশুকে কোলে নিয়ে ট্যানারের আবেগঘন মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করা হয়।
তিনি বলেন, “সোনার টুকরো, তোমাকে দেখার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”
সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তাদের জন্য সহজ ছিল না। একদিকে ক্যান্সারের কারণে ট্যানারের শারীরিক দুর্বলতা, অন্যদিকে, মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা—সবকিছু বিবেচনা করে তারা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
কিন্তু ভালোবাসার জয় হলো, আর অবশেষে তাদের কোল আলো করে এল এক দেবশিশু।
ক্যান্সার কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু, এমনটাই জানান শেই।
তবে, মেয়ের জন্মের পর তাদের জীবনে এসেছে নতুন আনন্দ। তাদের এই যাত্রা বুঝিয়ে দেয়, প্রতিকূলতা যতই থাকুক, ভালোবাসাই পারে সব বাধা জয় করতে।
ট্যানার ও শেইয়ের এই ভালোবাসার গল্প, নিঃসন্দেহে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।
তথ্য সূত্র: পিপল