শিরোনাম: ফুটবলার এমানুয়েল সাব্বির বিবাহ বন্ধন: ঘানা ও পশ্চিমা সংস্কৃতির মেলবন্ধন।
প্রেম কোনো সীমানা বা গণ্ডি চেনে না, ভালোবাসার টানে মানুষ ছুটে আসে এক নতুন দিগন্তে। তেমনই এক ভালোবাসার গল্প শোনা যাচ্ছে, যেখানে ঘানা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির এক সুন্দর মিলন ঘটেছে।
মেজর লীগ সকারের (এমএলএস) তারকা ফুটবলার এমানুয়েল সাব্বি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁর জীবনসঙ্গিনী জোনাথলিন আজিয়েমাং। তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠানটি ছিল ঘানা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির এক মনোমুগ্ধকর মিশ্রণ।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল ঘানার ঐতিহ্যপূর্ণ রীতি-নীতি মেনে। ১২ই জুন, টেক্সাসের একটি স্থানে ঘানার সংস্কৃতি অনুযায়ী বিয়ের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় ১৫০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
ঘানার ঐতিহ্যপূর্ণ পোশাকে সেজেছিলেন সবাই, যা ছিল এক ভিন্ন স্বাদের উদযাপন। অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় ঘানার জনপ্রিয় খাবার জলোফ রাইস, যা অতিথিদের মন জয় করে নেয়।
পরের দিন, ১৩ই জুন, একই স্থানে আরও একটি বৃহৎ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি ছিল একটি ক্লাসিক বিয়ের অনুষ্ঠান, যেখানে প্রায় ২২৫ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের স্থানটি সাদা ও সোনালী রঙে সাজানো হয়েছিল। জোনাথলিন পরেছিলেন একটি আকর্ষণীয় গাউন, যা সবার নজর কাড়ে।
বিবাহ অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় সাব্বি তাঁর স্ত্রীর প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা জানান। তিনি বলেন, জোনাথলিন তাঁর জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি কীভাবে সবসময় অন্যের সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকেন। তাঁদের এই ভালোবাসার বন্ধন যেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ।
অনুষ্ঠানে পবিত্র বাইবেলের একটি শ্লোক পাঠ করা হয়, যা তাঁদের জীবনের একতার প্রতীক। এই শ্লোকটি তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা এবং ভালোবাসার দৃঢ়তার বার্তা বহন করে।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী টেইরন কুইডান, যা আনন্দ আরও বাড়িয়ে তোলে। অতিথিদের জন্য পরিবেশন করা হয় আমেরিকান খাবার এবং চার স্তরের সুস্বাদু কেক।
জানা গেছে, এই যুগলের প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁদের কিশোর বয়সে। এরপর, ২০২৩ সালের শেষের দিকে তাঁদের মধ্যে আবার যোগাযোগ হয় এবং প্রেম হয়। ইতালির একটি সমুদ্র সৈকতে আংটি বদলের মাধ্যমে তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পর তাঁরা মেক্সিকোর কাবো সান লুকাসে মধুচন্দ্রিমায় যান। জোনাথলিন তাঁর স্বামীর সাথে জীবন কাটানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর সান্নিধ্য তাঁকে নিরাপদ বোধ করায়।
এমানুয়েল সাব্বি এবং জোনাথলিনের এই বিবাহ অনুষ্ঠান যেন দুটি সংস্কৃতির মিলনস্থল। তাঁদের ভালোবাসার এই যাত্রা সকলের জন্য একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল