আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারের ছেলে ক্রিস্টোফারের ওজন কমানোর সাফল্যে গর্বিত বাবা। সম্প্রতি এই তারকার কনিষ্ঠ পুত্র ক্রিস্টোফার প্রায় ১৩.৬ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়েছেন। বিশ্বখ্যাত এই অভিনেতা, যিনি একসময় ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরও ছিলেন, ছেলের এই পরিবর্তনে অত্যন্ত আনন্দিত।
৭৭ বছর বয়সী শোয়ার্জেনেগার তাঁর পাঁচ সন্তানের জনক। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া শ্রাইভারের সঙ্গে তাঁর রয়েছে প্যাট্রিক, ক্রিস্টিনা, ক্যাথরিন এবং ক্রিস্টোফার। এছাড়া তাঁর আরও এক ছেলে রয়েছে, জোসেফ বাইনা।
এক সাক্ষাৎকারে শোয়ার্জেনেগার জানান, শৈশবে ক্রিস্টোফারের ওজন নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। কিন্তু ছেলেকে সরাসরি কখনোই তিনি এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
বরং, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি জোর দেওয়া হতো এবং নিয়মিত শরীরচর্চার জন্য উৎসাহ দেওয়া হতো।
শোয়ার্জেনেগার বলেন, “আমি কখনোই তাকে বলতে পারিনি যে তুমি অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী। আমরা শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কথা বলতাম। তাকে সব সময় জিমে যেতে উৎসাহিত করতাম।”
বাবা হিসেবে তিনি আরও বলেন, “হঠাৎ করেই একদিন সে (ক্রিস্টোফার) ফিট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এখন সে সত্যিই ফিট। তার আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং ইচ্ছাশক্তি দেখে আমি মুগ্ধ।
আমি সবসময়ই অনুভব করেছি, একদিন না একদিন তার নিজের থেকেই এই পরিবর্তন আসবে, এবং সেটাই হয়েছে।”
ক্রিস্টোফার সম্প্রতি জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকে তিনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের চেষ্টা শুরু করেন। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন সময়ে তাঁর ওজন কমানোর বিষয়টি ভালোভাবে শুরু হয়।
তিনি জানান, অতিরিক্ত ওজনের কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে তাঁর অসুবিধা হতো। এরপর তিনি যখন স্কাইডাইভিং করতে চেয়েছিলেন, তখন বন্ধুরা তাঁকে নিরুৎসাহিত করেন, কারণ তাঁর ওজনের জন্য এটা সম্ভব ছিল না।
নিজের ওজন নিয়ে হীনমন্যতা তৈরি হয়েছিল তাঁর স্কুলজীবনেও। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য স্কুলে নিজের টিফিন তৈরি করে নিতেন তিনি।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা ক্রিস্টোফার বলেন, ওজন কমানো কোনো রাতারাতি প্রক্রিয়া নয়। অনেক চেষ্টা ও ভুল করার পরেই তিনি এই পর্যায়ে এসেছেন।
সম্প্রতি এক আলোচনাচক্রে ক্রিস্টোফার জানান, একটি বিশেষ খাবার ত্যাগ করার মাধ্যমেই তিনি এই সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, “আমি লেন্ট-এর সময় রুটি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
আমি নিশ্চিত নই এখানে কেউ ক্যাথলিক আছেন কিনা, তবে আমি লেন্ট-এর সময় রুটি খাওয়া থেকে বিরত ছিলাম। আমি নিজেকে বলেছিলাম, যেহেতু রুটি খাওয়া বন্ধ করেছি, তাই এই সুযোগটা কাজে লাগাই।
আমি একজন ভালো ক্যাথলিক এবং আমি আমার নিয়ম ভাঙব না। ফলে, রুটি ত্যাগ করার মাধ্যমেই আমি ১৩.৬ কিলোগ্রাম ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছি।”
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।