মিনেসোটার একজন আইনপ্রণেতা, যিনি এএলএস (Amyotrophic Lateral Sclerosis)-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যের প্রাক্তন হাউজ স্পিকার, মেলিসা হর্টম্যান এবং তাঁর স্বামী মার্ক হর্টম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রাজ্যের সিনেটর জন হফম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ইভেট।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড ছিল।
মেলিসা হর্টম্যানের এই অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তিনি এএলএস রোগ নিয়ে গবেষণা এবং তা নির্মূল করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
জানা যায়, এই বিলের মাধ্যমে এএলএস রোগের চিকিৎসার জন্য ২ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২শ’ ৪ কোটি টাকা) বরাদ্ধ করা হয়েছিল।
সিনেটর ডেভিড টমাসনির ছেলে ডান্তে টমাসনি জানান, তাঁর বাবা এএলএস রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
মেলিসা হর্টম্যান এই বিল পাসের জন্য তাঁদের পরিবারকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। ডান্তে আরও বলেন, “মেলিসা ছিলেন খুবই বুদ্ধিমান এবং ভালো মনের মানুষ। তিনি সবসময় মানুষের উপকারে এগিয়ে আসতেন।”
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৫৭ বছর বয়সী ভ্যান্স বোয়েল্টারকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, ইভেট হফম্যানকে আটবার এবং তাঁর স্বামী জন হফম্যানকে নয়বার গুলি করা হয়েছে।
বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেলিসা হর্টম্যানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে। মিনেসোটা রাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজ এই ঘটনাকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তথ্যসূত্র: পিপল ম্যাগাজিন