লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত এখন হয়তো আরও সহজ হতে চলেছে। সম্প্রতি, শহরটিতে চালু হয়েছে একটি নতুন মেট্রো ট্রানজিট সেন্টার, যা বিমানবন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছানো এবং সেখান থেকে শহরে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
বিশেষ করে, আগামী কয়েক বছরে লস অ্যাঞ্জেলেসে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যে কারণে এই ট্রানজিট সেন্টারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লস অ্যাঞ্জেলেসের এই নতুন মেট্রো ট্রানজিট সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছে বিমানবন্দরের কাছে, অ্যাভিয়েশন বুলেভার্ড এবং ৯৬তম স্ট্রিটের কাছে। এখান থেকে মেট্রোর দুটি লাইন – সি লাইন এবং কে লাইনে সরাসরি ওঠা যায়।
সি লাইন শহরের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বে এবং কে লাইন উত্তর থেকে দক্ষিণে চলাচল করে। এই ট্রানজিট সেন্টারটি শুধু বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহনই সহজ করবে না, বরং মেট্রো নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করবে।
মেট্রো লাইনের পাশাপাশি, এই ট্রানজিট সেন্টার থেকে ১৪টি ভিন্ন রুটের বাসেও চড়া যাবে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো – সান্তা মনিকার বিগ ব্লু বাস, কুলভার সিটি বাস এবং গার্ডেনার জিট্রান্স।
বর্তমানে, ট্রানজিট সেন্টার থেকে বিমানবন্দরের টার্মিনালগুলোতে যাওয়ার জন্য নিয়মিত শাটল বাস পরিষেবা চালু রয়েছে, যা প্রতি ১০ মিনিট অন্তর চলাচল করে।
তবে, ২০২৬ সালে এখানে একটি স্বয়ংক্রিয় যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা (Automated People Mover) চালু হওয়ার কথা রয়েছে, যা সরাসরি ট্রানজিট সেন্টার থেকে বিমানবন্দরে যাত্রী আনা-নেওয়া করবে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের এই পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমে চড়ার জন্য যাত্রীদের একটি ‘ট্যাপ কার্ড’ ব্যবহার করতে হয়। মেট্রো স্টেশন থেকে এই কার্ড কেনা বা মোবাইল ওয়ালেটে যুক্ত করারও ব্যবস্থা রয়েছে।
যারা শহর থেকে গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরে আসেন, তারা মেট্রো স্টেশনের পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে মেট্রোতে চড়তে পারেন।
ঢাকার মতো, লস অ্যাঞ্জেলেসেও যানজট একটি পরিচিত সমস্যা।
এই নতুন ট্রানজিট সেন্টার চালু হওয়ায় বিমানবন্দরের আশেপাশে যানজট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ, ২০২৭ সালের সুপার বোল এবং ২০২৮ সালের অলিম্পিকের মতো বড় ইভেন্টগুলোর জন্য শহরটি প্রস্তুত হচ্ছে।
এই মেট্রো সেন্টারটি বিমানবন্দরের ট্যাক্সি ও রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থাপনার উপর চাপ কমাতে সহায়ক হবে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার