1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
April 1, 2025 1:37 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জীবন ঝুঁকির মুখে? ভ্যাকসিন গবেষণা বন্ধে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞরা! সংবাদ: দুবাইতে রাব্বি হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড! চীন-হংকং কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা: তোলপাড়! ভয়ংকর! ত্রিনিদাদে ভ্রমণ সতর্কতা, পর্যটকদের জন্য জরুরি খবর! স্কুল বাসের ধাক্কায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ‘এপস্টাইনের শিকার’! দৌড়ের জগতে নতুন মোড়: জকি ক্লাবে জিম ম্যুলেন, আলোচনা তুঙ্গে! কৃষি বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা, অর্থ নেই! ভয়াবহ পরিস্থিতি! ৯টি হোম রান! ভয়ঙ্কর ব্যাটিংয়ে মাঠ কাঁপাল ইয়্যাঙ্কিজ, নতুন অস্ত্রের চমক! ছোট্ট রাহাফ: ঈদের আলো কেড়ে নেওয়া শোকগাথা নীল জলের দেশে: ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে নৌকাবিহারের অভিজ্ঞতা!

৭২ বছরের পুরনো কেপিএম প্রতিষ্ঠানটি জরাজীর্ণ ও রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, February 26, 2025,

কাপ্তাই প্রতিনিধি। 

এশিয়া মহাদেশের বৃহৎ কাগজ কল(কেপিএম), কর্ণফুলী পেপার মিল(কেপিএম) বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে।  ইন্টিগ্রেটেড পাল্প এন্ড পেপার মিলসহ আরো ৬টি কেমিক্যাল প্ল্যান্ট স্থাপনের

লক্ষে বিসিআইসি কর্তৃক নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া উক্ত সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনটি শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহিত হয়েছে। আগামী বছর এডিপিতে উক্ত প্রস্তাব উত্থাপন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্প সমুহে প্রায় ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। কারখানাটি নতুন ভাবে নির্মিত হলে কাগজ শিল্পে কেপিএমের হারানো গৌরব ফিরে আসবে বলে ধারণা করছে কেপিএম কর্তৃপক্ষ।

মিল কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ১৯৫৩ সালে মোট ৫০১ একর জমির উপর তৎকালীন পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ (পিআইডিসি) কারখানা (৬৮ একর) ও আবাসিক এলাকা (৪৩৩ একর) গড়ে তোলে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। সে সময় দেশের সরকারি চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ কাগজ সরবরাহ করতো কেপিএম। কালক্রমে বয়সের ভারে ধীরে ধীরে ৭২ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠানটি জরাজীর্ণ ও রুগ্ন শিল্পে পরিনত হয়ে পড়ে। নানা সমস্যায় জর্জরিত কারখানাটি দুর্দশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এক সময় শ্রমিক-কর্মচারীদের পদচারনায় মুখরিত থাকা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে অনেকটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। নানা প্রতিকুলতা সত্ত্বেও মিলটির উৎপাদন আজও চালু রাখা হয়েছে।

কেপিএম সূত্র আরো জানায়, শুরু থেকেই কেপিএমে বাঁশ-পাল্পউডের (নরম কাঠ) মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মন্ড তৈরি করে কাগজ উৎপাদন করা হতো। কিন্তু বিগত ৮ বছর ধরে মন্ড তৈরির পাল্প মিলটি বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকে বিদেশ থেকে আমদানী করা পাল্প ও দেশীয় অকেজো কাগজ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন চালু রাখা হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় মিলটি চালু থাকার পরও নিয়মিত লোকসান গুনতে হচ্ছে। বর্তমানে কেপিএম কর্তৃপক্ষ প্রতি টন উৎপাদিত কাগজ বিক্রি করছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায়। অন্যদিকে বেসরকারি কাগজ প্রতিটন বিক্রয় হচ্ছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায়। এতে প্রতি টন কাগজে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। কারণ কর্তৃপক্ষ চাইলেই কাগজের দাম বৃদ্ধি করতে পারছেনা।

বর্তমানে উৎপাদন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে প্রতিষ্ঠানটিকে বছরে প্রায় ২৮-৩০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই কেপিএমকে বাঁচাতে শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে ইন্টিগ্রেডেট পেপার মিলসহ বনায়ন, পেপার ভিত্তিক কেমিক্যাল প্ল্যান্ট, সোডা অ্যাশ, সোডিয়াম সালফেট ও বেসিক কেমিক্যাল প্ল্যান্ট (কাস্টিক সোডা, ক্লোরিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ব্লিচিং আর্থ, টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, সালফিউরিক এসিড, ফসফরিক এসিড ইত্যাদি) এবং সিনথেটিক পলিস্টার ফাইবার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এতে এই কারখানাতে বছরে এক লক্ষ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান বার্ষিক কাগজ উৎপাদন করছে ৩ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন।

এদিকে, বর্তমানে মিলের ২৩৭৬ জন স্থায়ী শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার সেটআপের বিপরীতে মাত্র ১৮৮ জন স্থায়ী শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও ২৫০ জন অস্থায়ী ঠিকাদার শ্রমিক দ্বারা মিলের কার্যক্রম চলছে।

তবে কেপিএম নানা কারণে আগের মতো উৎপাদনে যেতে পারছেনা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মিলে দক্ষ কর্মকর্তা, শ্রমিক- কর্মচারীর অভাব, উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত গ্যাসের শতভাগ দাম বৃদ্ধি, চড়া মূল্যে বিদেশী পাল্প আমদানী করা, অর্থ সংকট, কাগজের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারা অন্যতম।

এ বিষয়ে আলাপকালে কর্ণফুলী পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ    জানান, ৭২ বছরের পুরাতন কারখানানটির অর্থনৈতিক

আয়ুষ্কাল বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। কেপিএমকে পুনরায় পুরোদমে সচল রাখতে নতুন করে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিসিআইসি কর্তৃক শিল্প মন্ত্রনালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি যাচাই-বাছাই চলছে। সরকার যদি প্রকল্পটি অনুমোদন করে তাহলে বছরে এক লক্ষ টন কাগজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। মিলটি পুরোদমে চালু করতে পারলে এই এলাকার আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যেমন পরিবর্তন আসবে, তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি কাগজের বাজারের মূল্য নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে কেপিএম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। কাগজের কাঁচামাল হিসেবে স্থানীয় বাঁশ, পাল্পউডের ব্যবহার বাড়বে এবং এরফলে এই এলাকার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে।

তিনি বলেন, দেশের সার কারখানা গুলোতে সরকার ভর্তুকি দেওয়ায় প্রতি ঘনফুট গ্যাস তারা ১৬ টাকায় পাচ্ছে, কিন্তু কর্ণফুলী পেপার মিলে প্রতি ঘনফুট গ্যাস ৩০ থেকে সাড়ে ৩১ টাকা হারে কিনতে হচ্ছে। সার কারখানার মতো কেপিএমে গ্যাস ক্রয়ে সরকার ভর্তুকি দিয়ে অর্ধেক দামে ক্রয় করার সুযোগ করে দিলে কেপিএমের কাগজ উৎপাদন ব্যয় বহুলাংশে কমতো। বর্তমানে মিল চালু অবস্থায় প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ মে. টন উৎপাদন হলে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার গ্যাসের প্রয়োজন পড়ে। ফলে উৎপাদন করার পরেও মিলকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এছাড়া লোকবল সংকটের কারণে ৩টি পেপার মেশিনের মধ্যে মাত্র ১টি মেশিন দিয়ে কাগজ উৎপাদন করা হচ্ছে। লোকবল সংকট দূর করা হলে ২টি মেশিন পুরোদমে চালানো যেত। এতে লোকাসানও কমে আসতো।

এছাড়া বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা মিলের কাগজ রূপান্তর প্লান্টটি পুনরায় চালু করার পাশাপাশি বিদেশী পাল্প স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয় না করে সরাসরি আমদানী করা গেলে উৎপাদন ব্যয় অনেকাংশে কমে যেত। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে মিলটি

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT