মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে খেলনার দাম বাড়তে পারে।
সম্প্রতি, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা খেলনা প্রস্তুতকারকদের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে খেলনার দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত একটি বাণিজ্য সম্মেলনে খেলনা প্রস্তুতকারক, বিক্রেতা এবং সরবরাহকারীরা একত্রিত হয়েছিলেন।
সেখানে সবার আলোচনার মূল বিষয় ছিল কিভাবে এই শুল্ক বৃদ্ধি তাদের ব্যবসা এবং পণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে।
বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি হওয়া প্রায় ৮০ শতাংশ খেলনা আসে চীন থেকে।
তাই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে খেলনা প্রস্তুতকারকদের উৎপাদন খরচ বাড়বে, যা স্বাভাবিকভাবেই পণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলনার দাম বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন সাধারণ ক্রেতারা।
বর্তমানে, খেলনার দাম সাধারণত ৫ ডলার থেকে ২০ ডলারের মধ্যে থাকে।
শুল্ক বৃদ্ধির কারণে দাম বাড়লে, সীমিত আয়ের ক্রেতাদের জন্য খেলনা কেনা কঠিন হয়ে পড়বে।
অনেক খেলনা প্রস্তুতকারক এখন বিকল্প উপায় খুঁজছেন।
কেউ কেউ উৎপাদন খরচ কমাতে পণ্যের নকশার পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন, আবার কেউ কেউ ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোতে কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা যাচাই করছেন।
তবে, চীনের কারিগরী দক্ষতা এবং শ্রমিকদের কম মজুরির কারণে অনেক কোম্পানিই সহজে বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না।
এই বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে খেলনা প্রস্তুতকারকদের পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতাদেরও সমস্যা হচ্ছে।
অনেক বিক্রেতা এরই মধ্যে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে দাম বাড়ানোর নোটিশ পেয়েছেন।
কেউ কেউ তাদের সরবরাহকারীদের পরিবর্তনের কথা ভাবছেন, আবার কেউ বলছেন, বাজারের নতুন খেলনার চাহিদার কারণে তারা খুব একটা সমস্যায় পড়বেন না।
এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিভিন্ন সময়ে শুল্কের নীতি পরিবর্তন করায় খেলনা কোম্পানিগুলোর জন্য পরিকল্পনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
একদিকে যেমন তারা শুল্কের প্রভাব থেকে বাঁচতে চাইছে, তেমনি বাজারের চাহিদা টিকিয়ে রাখতেও চেষ্টা করছে।
এই ঘটনার একটি সম্ভাব্য প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে।
চীন থেকে খেলনা আমদানি কমে গেলে, বিশ্ব বাজারে খেলনার যোগানে পরিবর্তন আসতে পারে।
সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশের খেলনা প্রস্তুতকারকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে।
আবার, চীন থেকে খেলনা আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে দাম বাড়ার কারণে ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে।
তবে, এটি নির্ভর করবে বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতির ওপর।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস