আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী সহিংসতায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে হিরন গাজী (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ওই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, বুধবার রাতে আমার কর্মীরা পূর্ব মহিষডাঙ্গায় গণসংযোগ করার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী নয়ন মৃধার কর্মীরা ৭-৮ জন আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় ছুরিকাঘাতে আমার কর্মী হিরন গাজী নিহত হন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা জানান, আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা নির্বাচনে তার পরাজয় বুঝতে পেরে সুপরিকল্পিতভাবে হিরনকে হত্যা করে আমার কর্মী সমর্থকদের উপড় এর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ওই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় হিরন গাজী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বরগুনা জেলা প্রসাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ঘটনার বলেন এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রত আইনের আওতায় আনা হবে।