শিরোনাম: অভিনেতা মাইকেল শিনের ১ মিলিয়ন পাউন্ড ঋণ পরিশোধ, দরিদ্র প্রতিবেশীদের পাশে
যুক্তরাজ্যের খ্যাতিমান অভিনেতা মাইকেল শিন, যিনি তাঁর অভিনয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, সম্প্রতি তাঁর প্রতিবেশীদের জন্য এক দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকার বেশি) খরচ করে ওয়েলসের পোর্ট টালবটের প্রায় ৯০০ জন মানুষের ঋণ পরিশোধ করেছেন। এই মানবিক কাজটি তিনি করেছেন সমাজের দরিদ্র ও ঋণগ্রস্ত মানুষের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে।
**ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি:**
মাইকেল শিন এই বিশাল অংকের টাকা খরচ করে মূলত উচ্চ সুদের হারে ঋণ নেওয়া মানুষের দুর্ভোগ কমাতে চেয়েছেন। সমাজের দুর্বল শ্রেণীর মানুষ, যারা প্রায়শই ঋণ জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করাই ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য। তিনি একটি টিভি চ্যানেলের ডকুমেন্টারিতে এই কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন, যা মানুষকে সচেতন করতে সহায়ক হবে।
**সমাজসেবার নতুন দিগন্ত:**
শিনের এই উদ্যোগ শুধু ঋণ পরিশোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে আসছেন। পোর্ট টালবটে যেখানে একসময় বিশাল স্টিল কারখানা ছিল, সেখানকার শ্রমিকদের দুরবস্থা তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি অনুভব করেন যে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। তাঁর মতে, সমাজের বিত্তবানদের উচিত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানো।
**নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা:**
শিন জানান, তাঁর নিজেরও একসময় আর্থিক সংকট ছিল। তিনি হলিউডে কাজ করার সময় সেখানকার জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হন, কিন্তু তাঁর শিকড় ছিল ওয়েলসে। দরিদ্র মানুষের কষ্ট তিনি কাছ থেকে দেখেছেন এবং উপলব্ধি করেছেন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে সমাজের জন্য কিছু করবেন।
**অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা:**
মাইকেল শিনের এই কাজটি অন্যদের জন্যও একটি বড় অনুপ্রেরণা। তিনি মনে করেন, সমাজের প্রতিটি মানুষের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাঁর এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, সামান্য সাহায্যও একটি মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান