ফেলে দেওয়া খাবার: “আমি কি এটা পেতে পারি?”
আমরা প্রায়ই চারপাশে দেখি, প্রচুর খাবার নষ্ট হচ্ছে। কেউ বাসি তরকারি ফেলে দিচ্ছে, তো কেউ বা অনেক দিনের পুরনো ফল। রেস্টুরেন্টগুলোতেও একই দৃশ্য, খাবার টেবিলে পড়ে থাকে, পরে সেগুলো ডাস্টবিনে যায়। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা এই খাবারগুলো পেলে খুশি হবেন। তাদের কাছে, এটা শুধু খাবারের অপচয় নয়, বরং ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার একটা সুযোগ।
ধরুন, অফিসের ক্যান্টিনে একদিন অনেক খাবার বেঁচে গেল। হয়তো কেউ সেটা ফেলে দেবে, কিন্তু আপনি যদি সেই খাবারগুলো নিতে চান, তাহলে কি ক্ষতি? বরং এতে একদিকে যেমন খাবার নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়, তেমনি কারো পেটের ক্ষুধা নিবারণ হয়।
আমাদের সমাজে এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান। তাদের জন্য, এই ধরনের খাবারগুলো জীবন ধারণের সহায়ক হতে পারে। এমনকি, যারা নিয়মিত খাবার কেনেন, তারাও যদি খাবার অপচয় করা বন্ধ করেন, তাহলে তাদের আর্থিক সাশ্রয় হবে। বাজারে সবজির দাম, চালের দাম—সবকিছুই তো বাড়ছে। তাই খাবার নষ্ট না করে, তা ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে, খাবার নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। খাবারটি খাওয়ার উপযুক্ত কিনা, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বাসি খাবার খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও থাকতে পারে। তাই, খাবার নেওয়ার আগে এর গুণাগুণ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া দরকার।
আসলে, খাবার অপচয় রোধ করা একটি সামাজিক দায়িত্ব। আমরা যদি সচেতন হই, তাহলে এই সমস্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। আসুন, আমরা সবাই মিলে খাবার অপচয় করি না এবং অন্যদেরও এই বিষয়ে উৎসাহিত করি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান