আর্টিকেল লেখার নির্দেশিকা অনুসরণ করে নিচে সংবাদটি লিখুন:
**সংবাদ শিরোনাম: ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জয়, সংগীতে ২৫ বছর: জীবনের কঠিন পথে হাস্যরসের সন্ধান Анастаাসিয়া-র**
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে উঠে আসা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সঙ্গীত শিল্পী Анастаাসія। গানের জগতে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি বর্তমানে ইউরোপ সফরে রয়েছেন। তার ক্যারিয়ার জুড়ে রয়েছে সাফল্যের গল্প, তবে ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোও তিনি হাসিমুখে মোকাবেলা করেছেন। স্তন ক্যান্সারকে জয় করে জীবনের পথে এগিয়ে চলা এই তারকার গল্প শুনলে অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।
৫৬ বছর বয়সী Анастаাসিয়া তার গানের শুরুটা করেছিলেন ১৯৯৮ সালে, যখন তিনি একটি প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও শুরুতে তিনি নিজের বয়স গোপন করেছিলেন, কিন্তু তার কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে দ্রুতই পরিচিতি লাভ করেন। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় তার জনপ্রিয় অ্যালবামগুলো। বিশ্বজুড়ে তার গানের অ্যালবামগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও, যুক্তরাষ্ট্রে সেভাবে পরিচিতি পাননি তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে Анастаাসিয়া’র মনে কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি মনে করেন, এতে করে হয়তো তিনি অন্যরকম একজন মানুষ হতেন।
গানের পাশাপাশি Анастаাসিয়া’র জীবন জুড়ে রয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা চ্যালেঞ্জ। অল্প বয়সে তিনি ক্রোনস ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়া, স্তন ক্যান্সারও তাকে দুবার মোকাবেলা করতে হয়েছে। একবার অস্ত্রোপচার এবং কেমোথেরাপির পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয়বার ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তিনি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অস্ত্রোপচার করান। মেনোপজের সময় হওয়া শারীরিক পরিবর্তনগুলোকেও তিনি হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন। কঠিন পরিস্থিতিগুলো থেকে কিভাবে ইতিবাচকতা খুঁজে নিতে হয়, তা যেন Анастаাসিয়া’র জীবন থেকে শেখার বিষয়।
নিজের পরিবারকে সবসময় ভালোবাসেন Анастаাসিয়া। মা, ভাই এবং বোনের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ভাই ব্রায়ান শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং বোন শান হলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী। পরিবারের প্রতি এই টান, কঠিন সময়ে তাকে সাহস জুগিয়েছে। বর্তমানে তিনি ডেনভার, কলোরাডোতে বসবাস করেন।
সঙ্গীত জীবনে যেমন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়েছেন Анастаাসিয়া। তবে জীবনের প্রতি তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং হাসি-খুশি স্বভাব তাকে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে। তিনি সবসময় নিজের ভেতরের শক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আনন্দ খুঁজেছেন। Анастаাসিয়া’র জীবন সংগ্রাম আমাদের অনেককে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান