জনপ্রিয় চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা A24 পরিবেশিত নতুন হরর সিনেমা ‘ওপাস’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
সিনেমাটিতে নব্বই দশকের জনপ্রিয় পপ তারকা আলফ্রেড মোরেত্তি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন মালকোভিচ।
সিনেমার গল্পে মোরেত্তি দীর্ঘদিন পর তার নতুন অ্যালবাম ‘সিজার্স রিকোয়েস্ট’-এর লঞ্চিংয়ের জন্য কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তিকে একটি দ্বীপে আমন্ত্রণ জানান।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন একজন সঙ্গীত ম্যাগাজিনের লেখিকা, যিনি মূলত গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র, আর তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আয়ো এডেবিরি।
গল্পের শুরুটা বেশ আকর্ষণীয় হলেও, ধীরে ধীরে তা হতাশাজনক দিকে মোড় নেয়।
মোরেত্তির এই আয়োজন আসলে একটি ভয়ঙ্কর ‘কাল্ট’-এর (গুপ্ত সংগঠন) অংশ, তা বুঝতে বেশি সময় লাগে না অতিথিদের।
ক্যামেরন ক্রো’র ‘অলমোস্ট ফেমাস’ এবং মার্ক মাইলোড পরিচালিত ‘দ্য মেনু’ সিনেমার একটি মিশ্রণ বলা যেতে পারে ‘ওপাস’-কে।
জন মালকোভিচের অভিনয় এবং সিনেমার মেকিং-এর দুর্বলতা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
৭০ বছর বয়সী মালকোভিচকে অদ্ভুত পোশাকে, বিশেষ করে একটি সারং পরে দর্শকদের সামনে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়, যা ভীতির বদলে কৌতুক সৃষ্টি করে।
পোশাক পরিকল্পনাকারী শার্লি কুরুতাও যেন তাল হারিয়ে ফেলেছেন।
মালকোভিচকে নেহেরু জ্যাকেট, ক্রিস্টাল খচিত পোশাক, প্ল্যাটফর্ম জুতো এবং হাতে আংটি পরা গ্লাভস-এ দেখা যায়, যা তাকে একজন তারকার বদলে কোনো রেস্টুরেন্টের বাবুর্চির মতো দেখায়।
সিনেমাটির সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো এর সঙ্গীত।
নাইল রজার্স এবং দ্য-ড্রিম-এর মতো খ্যাতিমান সঙ্গীত পরিচালকদের তৈরি করা গানগুলো একেবারেই দুর্বল মানের।
গল্পের প্রয়োজনে তৈরি করা ইউরোট্র্যাশ পপ ঘরানার গানগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে না।
আয়ো এডেবিরির অভিনয় ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, এই সিনেমায় তাঁর চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি।
গল্পের গভীরতা কম থাকায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়।
সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মার্ক এন্থনি গ্রিন।
খ্যাতি এবং এর সঙ্গে জড়িত শিল্প-বাণিজ্যকে ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে তৈরি হলেও, সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত একটি বিরক্তিকর, রক্তক্ষয়ী দৃশ্যের অবতারণা করে, যা এর মূল উদ্দেশ্য থেকে অনেক দূরে চলে যায়।
সবকিছু মিলিয়ে ‘ওপাস’ একটি দুর্বল সিনেমা, যা দর্শকদের হতাশ করতে পারে।
সিনেমাটির রানটাইম ১০৩ মিনিট।
বিষয়বস্তু, ভাষা এবং কিছু দৃশ্যে নগ্নতার কারণে সিনেমাটিকে ‘আর’ রেটিং দেওয়া হয়েছে।
সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর কেমন সাড়া ফেলে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
সিনেমার রেটিং: ১/৪
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস