1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 28, 2025 3:20 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
সামাজিক কাজের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়ে আলো ছড়াবে আলো ফাউন্ডেশন–মিনহাজ মুরশীদ কাপ্তাইয়ের  কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার সাম্বার হরিণটি মারা গেল বিলুপ্ত সাম্বল হরিণ আহত অবস্থায় উদ্ধার করল কাপ্তাই বনবিভাগ দেশের কাঁচামাল উৎপাদন বাড়িয়ে কেপিএম উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে-শিল্প উপদেষ্টা আতঙ্কে হলিউড! ব্র্যাড পিটের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি! মা’কে হত্যার দায়: মুক্তি পেয়েই মুখ খুললেন জিপসি রোজ, তোলপাড় সৃষ্টি! পাহাড়ে বাবার মৃত্যু: আসল কারণ প্রকাশ্যে! ১ ডলারের লটারি, আর নারীটি রাতারাতি কোটিপতি! ক্যাটি পেরির মঞ্চে ১২ বছরের কিশোরের স্বপ্ন সত্যি! ভাইরাল ভিডিও! আতঙ্কের আগুনে ৭০টি কুকুরের জীবন বাঁচানো হলো!

অ্যানি ও ক্যাল্ডওয়েলস: এক আত্মার গান, শুনলে মন জুড়িয়ে যাবে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, March 13, 2025,

অ্যানি এবং ক্যাল্ডওয়েলস: ৪০ বছর পর এক নতুন গসপেল মাস্টারপিস

গানের জগতে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। একদিকে যখন শিল্পীরা অল্প বয়সেই খ্যাতি লাভ করেন, তখন কেউ কেউ এমনও আছেন, যাঁরা তাঁদের কাজ নিয়ে আসেন বহু বছর পর। তেমনই এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন গসপেল শিল্পী অ্যানি এবং ক্যাল্ডওয়েলস। তাঁদের প্রথম অ্যালবাম ‘ক্যান্ট লুজ মাই (সোল)’ প্রকাশিত হয়েছে, যা সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এই অ্যালবামের গল্পটাও বেশ চমকপ্রদ। ১৯৭৪ সালে ‘ওয়েটিং ফর দ্য ট্রাম্পেট টু সাউন্ড’ নামে দ্য স্টেপলস জুনিয়র সিঙ্গার্স-এর একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল, যা সেভাবে পরিচিতি পায়নি। সেই গানের একটি কপি খুঁজে পান গ্রেগ বেলসন নামের এক ডিজে। তাঁর মাধ্যমেই গানটি সবার নজরে আসে। এরপর ডেভিড বাইর্ন নামের এক শিল্পী, যিনি আগে টকিং হেডস-এর সঙ্গে কাজ করেছেন, তিনি এই গানটি শোনেন এবং ক্যাল্ডওয়েলস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

আশ্চর্যজনকভাবে, অ্যানি ক্যাল্ডওয়েলস-এর কাছে তাঁর পুরনো গানের খবর পৌঁছানোর পর, ডেভিড বাইর্নের লেবেল লুয়াকা বপের মাধ্যমে ক্যাল্ডওয়েলস-এর নতুন অ্যালবাম প্রকাশের প্রস্তাব আসে। অ্যানি তাঁর স্বামী, সন্তান এবং গডডটারকে নিয়ে প্রায় ৪০ বছর ধরে একটি ব্যান্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। অবশেষে, তাঁদের সেই দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ‘ক্যান্ট লুজ মাই (সোল)’ অ্যালবামটি।

গসপেল সঙ্গীতের একটি বিশেষত্ব হলো এর গভীরতা এবং আধ্যাত্মিকতা। ক্যাল্ডওয়েলস-এর এই অ্যালবামে সেই বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। গানের কথাগুলোতে জীবনের কঠিন বাস্তবতার চিত্র যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে আশা ও ভালোবাসার বার্তা। অ্যালবামের টাইটেল ট্র্যাক, ‘ডিয়ার লর্ড’-এর মতো গানগুলোতে ব্লুজ, ফাঙ্ক এবং সোল-এর মিশ্রণ শোনা যায়।

অ্যালবামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এর লাইভ রেকর্ডিং। শিল্পীরা তাঁদের জন্মস্থান, মিসিসিপির ওয়েস্ট পয়েন্টের একটি চার্চে কোনো দর্শক ছাড়াই গানগুলো রেকর্ড করেছেন। এর ফলে গানের মধ্যে এক ধরনের আন্তরিকতা ও প্রাণবন্ততা তৈরি হয়েছে।

এই অ্যালবামের মাধ্যমে অ্যানি এবং ক্যাল্ডওয়েলস প্রমাণ করেছেন, সঙ্গীত কোনো বয়সের বাঁধ মানে না। তাঁদের গান শুনে মনে হয়, যেন গভীর শোকের মুহূর্তেও আলোর দিশা দেখা যায়। গানে গানে তাঁরা যেন আমাদের বলেন, “জীবন কত কঠিন হোক না কেন, আশা ছাড়লে চলবে না।” যারা ভালো গান শুনতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই অ্যালবামটি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হতে পারে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT